আওয়ামী লীগ একটা মরা লাশ, মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে লাভ নাই
—————————————-নুরুল হক নুর
নেত্রকোনায় তারুণ্যের সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামীলীগ এখন একটা মরা লাশ। মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে লাভ নাই। একই সাথে অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দদের আমরা বলতে চাই আমরা সকলেই রক্ত দিয়েছি। এই রক্তের সাথে বেঈমানি করে আাওয়ামীলীগকে কেউ পুনবার্সনের চেষ্টা করবেন না। যারা এই ফ্যাসিস্ট অওয়ামীলীগের দোসরদেরকে পুনবার্সনের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বশেষে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার বিকালে শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও পেশাজীবি অধিকার পরিষদ জেলা শাখা আয়োজিত নেত্রকোনায় বৈষম্যহীন দেশ গঠনে গণঅধিকার পরিষদ (বিওপি’র) তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র জনতা গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখছে, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে বৈষম্যহীন দাঙ্গা হাঙ্গামা, দখল, চাঁদাবাজ মুক্ত স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে গণ অধিকার পরিষদ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক মত পথের ভিন্নতা আছে, পার্থক্য আছে। দেশ এবং জাতির প্রশ্নে আমাদের এক ও অভিন্ন শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে ভিপি নুর আরও বলেন, এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নাজেহাল করার জন্য অস্থিতিশীল করার জন্য স্বৈরাচারের প্রধানমন্ত্রী দিল্লী বসে প্রায় সময় নাটক করে। তাদেরকে আগেই বলেছিলাম মানুষকে জুলুম অত্যাচার করবেন না।
আনাদের কিন্তু এই দেশে থাকতে হবে। তারা শুন নাই। আপনাদের নেত্রী জুতা পড়ার টাইম পায় নাই। হেলিকপ্টারে করে পালিয়েছে। আপনাদের কথা ভাবে নাই। আপনারা দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামীলীগ ছাড়েন। মানুষের কাছে ক্ষমা চান। নইলে আপনারাও পালানোর সুযোগ পাবেন না।
এসময় আরও বলেন, হাসিনা সরকার যেভাবে মানুষের উপর জুলুম করেছে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আপনারা কেউ এসব করবেন না। আপনারা সেই পথে হাঁটবেন না। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না তাদের উপর কোন আঘাত হানবেন না। গণঅধিকার পরিষদের কেউ যদি এসব করে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন এমন কাউকে আমরা রাখব না।
চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয় নাই। শুধু হাত বদল হয়েছে মাত্র। এই ছাত্র জনতার রক্তের উপর দিয়ে যে স্বাধীনতা এসেছে তা ভূলন্ঠিত করা যাবে না। তরুণদের এই ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সুন্দর একটি দেশ চাই। আর সেজন্য আনুপাতিক নির্বাচন দিয়ে দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
যেই লংকায় যায় সেই রাবন হয়। আমেরিকার মতো দেশ যদি চার বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে আমাদের কি সমস্যা? তাই চার বছর করা হলে কেউ বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পাবে না। স্বৈরাচার হবে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলসহ নানা কিছুতে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। প্রতিষ্টানগুলোতে ভালো শিক্ষা দেয়ার দিকে নজর দিন। সারাদেশে বিভিন্ন ভাবে চাঁদাবাজি দখলদারি চলছে। এই চাঁদাবাজদের ধরতে সেনাবাহিনীকে নামিয়ে দিন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
এছাড়াও তারণ্যের সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহবায়ক আব্দুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মুফতি ইলিয়াস হোসাইন ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।