সোহান আহমেদ:
আগাম বন্যায় হাওরের ফসল রক্ষায় আগামী বছরের মধ্যেই নেত্রকোনার খালিয়াজুরী কীর্তনখোলা বাঁধের ৭ কিলোমিটার অংশ স্থায়ীভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। হাওরে বাঁধ পরিদর্শনে এসে জানিয়েছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। বুধবার দুপুরে জেলার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলা বেরিবাদের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তরে এমন তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, আগামীতে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের পিআইসি গঠন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও একাধিক কৃষকজনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এসময় হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আব্দুর রহমান পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এম মোবারক আলীসহ হাওর সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। নেত্রকোনার হাওর পরিদর্শন শেষে বিকেলে পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনার থাল হাওর পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা হন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এরআগে আগাম বন্যার পূর্বাভাস ও নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে বাঁধ গুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ বিষয়ক পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপি চলা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজি মোহাম্মদ আবদুর রহমান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, থেকে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় হাওরাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে সরকার। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিক নির্দেশনা প্রদান করার পাশাপাশি জেলা শহরের মগড়া, ধলাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীগুলোর খনন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনে আলাদা প্রকল্প গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন প্রধান অতিথি।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মতিন সরকার, জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকতসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।