নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্তের ব্যবসায়ীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান ওরফে দাও মজিবুর (৫৫) নিহত হয়েছেন। আহত রয়েছেন আরও চারজন।
রবিবার দুপুরে উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারের আওয়াল মাকের্টের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সুসং ডিগ্রী কলেজে নিহত মজিবুরের ভাতিজা ও কুল্লাগড়া ইউপি চেয়াম্যান আব্দুল আওয়ালের ছেলের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মজিবুররহমান ওরফে দা মজিবুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানজিরুল রায়হান মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আহত আব্দুর রশিদ (৪৫) ও মুখশেদুর রহমান (৪৭)সহ চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারমধ্যে গুরুতর আহতদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক সুবাশিষ দাস লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় কুল্লাগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা দৃবৃত্তদের হামলায় ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মারা যাওযার পর থেকে ওই এলাকার দা মজিবুর ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল গ্রæপের মধ্যে বিরোধ হয়। সুব্রত সাংমা মারা যাওয়ার পর থেকে মজিুবর গ্রæপ চেয়ারম্যানের আওয়াল মার্কেট বন্ধ করে রাখে। এসকল নানা কারণে তাদের প্রজন্মের মাঝে বিরোধ মাথাচারা দেয় বলে জানান স্থানীয়রা।
এরই জেরে রবিবার সকালে নিহতের ভাতিজা খাইরুল ও চেয়ারম্যানের ছেলে আবিরের সাথে সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কথা কাটাকাটি হয়। পরবতীতে দুপুরে শিবগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে ৫ জন আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে নিলে একজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান বলেন, পুর্ব বিরোধের জেরে মজিবুরের ভাজিজার সাথে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের ছেলের ঝগড়া হয়। এর রেশ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।