বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, আমরা একটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মাঝখানে আছি।
ভারতের মিডিয়া যেভাবে পুরো বাংলাদেশকে চিত্রায়িত করছে তার বিপরীতে আমরা দেখাতে চাচ্ছি আমাদের এ দেশটা সম্প্রীতির একটা দেশ।
আমরা সবাই মিলে একসাথে থাকি। আমার ধর্ম যাই হোক না কেন আমি সকল ধর্মের উৎসবে অংশ গ্রহন করতে পারি।
গতকাল শুক্রবার বিকালে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি কালচারাল একাডেমিতে গারোদের ওয়ানগালা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, শিল্পকলার খুব গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা হচ্ছে শিল্পকলা যেন সকল কিছুর কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে।
শিল্পকর্ম যেন জনগনের হতে পারে। শিল্পকর্ম যেন মানুষের মাঝখানে উৎসব নিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশটা যেন উৎসবমুখর থাকে।
খুব চিন্তাভাবনা করেই পরিস্কার ভাবেই একটা কথা বলতে চাচ্ছি সেটি হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি নয়, আমরা আদিবাসী বলতে চাই। নতুন বাংলাদেশে যেহেতু রচনা করতে যাচ্ছি। সেখানে এখন আদিবাসী হবে। আমরা সবাই মিলে থাকবো।
প্রতিবারের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে কালচারাল একাডেমিতে গারোদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবারও অনুষ্ঠিত হলো ওয়ান গালা উৎসব।
শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
শস্যদেবতার তুষ্ট করা পূজা শেষে একাডিমির হলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজংয়ের পরিচালনায়, একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব কৃষ্টি ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গারো সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিনের মতো একদিন সবাই একত্র হয়।
একত্র হয়েই শস্যবেদতা বা সৃস্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। এই কৃতজ্ঞতা জানানোর সংস্কৃতি হলো গারোদের ওয়ান গালা উৎসব।
শস্য দেবতাকে তুষ্ট করতেই বছরে একবার এমন আয়োজন তাদের। আয়োজনে গারো সম্প্রদায় ছাড়াও সকল নানা শ্রেনি পেশার এবং বাঙ্গালিসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরও মেল বন্ধন ঘটে।