নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের দ্বীপ উপজেলা খালিয়াজুরীর একমাত্র ফসল বুরো ধান। আর এই ধানের ওপর নির্ভরশীল উপজেলার পুরো মানুষ। এ ফসল তলিয়ে গেলে কৃষকরা হয়ে পড়েন নিঃস্ব। শুধুমাত্র ধানের ওপর নির্ভরশীল উপজেলাটিতে রবিশস্যের বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও সেচ সহ নানা সমস্যায় রবিশস্যের প্রতি কৃষকদের তেমন আগ্রহ নেই বললেই চলে।
এ বছর মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অঙ্গীকারকে কাজে লাগাতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন খুঁজে বের করেছে এ সকল পতিত জমি। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদেরকে সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে পরীক্ষামুলক চাষেই মিষ্টি কুমড়া সহ অন্যান্য রবিশস্যের বেশ ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকরাও অনেক খুশি। নারী পুরুষ সকল কৃষক মিলেই ফসল ফলিয়ে খুশি তারা। এতে করে কর্মর্সস্থান হয়েছে অনেকর।
মিষ্টি কুমড়া ছাড়াও শশা, ক্ষিড়া, বাদাম, মরিচ, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফলনও ভালো হয়েছে। পুরো উপজেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় অর্ধেক জমিতে। সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় শ্রম দিয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন তারা। আগাম ফলন হওয়ায় পানিতে ডুবির আশংকাও নেই।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দুই থেকে তিনজন করে করে বিভিন্ন মালিক থেকে জমি লিজ নিয়ে এসকল আবাদ করেছেন। কীটনাশক ছাড়াই এই ফসল ফলানোতে জমি থেকে তুলে নিয়েই খাওয়া যাচ্ছে সবজি। এলাকাতেই প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া দর ১০ থেকে ১২ টাকা করে। এই হিসেবে একটাকা করে লাভ হলেও কৃষকদের কয়েকলাখ টাকা লাভ হবে। তবে ন্যাজ্যমূল্য পেলে কৃষকরা লাভবান হবে এবং রবিশস্য চাষের আওতায় আরো কৃষক আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষককরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট আড়াই হাজার একর জমির অধিকাংশতেই মিষ্টি কুমড়ার চাষে বাম্পার ফলনে হেক্টর প্রতি ফলন আনুমানিক ৪০ মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে এই বছর মোট ১ কোটি কেজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হবে।