অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আনু মাহাম্মদ বলেছেন, দীর্ঘকাল স্বৈরশাসন থাকার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে গেছিলো।
সমাজের মধ্যে একটা সামাজিক হতাশা নেমে এসছে। সেই সরকার পতনের ফলে একটা সামাজিক ভারসাম্যহীনতা তৈরী হয়েছে। ভারসাম্যহীনতা এই অর্থে যে পুরোনা সরকার পুরো ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রেখেছিলো। প্রতিষ্ঠান কিংবা জনগনের হাতে কোন ক্ষমতা ছিলো না। ওই সরকার পতনের পরে একটা নতুন ব্যবস্থায় যাওয়ার পথ তৈরী হয়েছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশে।
এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য যে আকাঙ্খা তার সাথে সকলে একমত না। দেখা যাচ্ছে এই সমাজের মাঝে বৈষম্যবাদী অর্থনীতি বৈষম্যবাদী কর্মকান্ড যারা করতো তারা বিভিন্ন ভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতি বিদ্বেষী, নারী বিদ্বেষী, ধর্মীয় বিদ্বেষ এগুলো গণঅভ্যুত্থানের সাথে সংগতিপূর্ন না।
এই জন্যে সরকারকে আরো সচেতন ও সক্রিয় হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন ছাত্র নেতৃবৃন্দের আরো বড় দায়িত্ব রয়েছে। কোন রকম উস্কানিমূলক কাজ যাতে না হয় সেটিকে রুখতে হবে।
কোন ধরনের অপতৎপরতাকে যেন প্রশ্রয় না দেয়।
তাহলেই মানুষের পরিত্রাণ মিলবে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের রাজুরবাজার এলাকায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রস্তাবিত নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়) অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ২০২৩-২৪ বছরে প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম এর সভাপতিত্বে শিক্ষার্থী রিফাত রেজোয়ান জয় ও ঋকতি বড়ুয়া রিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মো. নুরুল হক, পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড.আহসান উদ্দিন আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আনিছা পারভীন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হাফসা আক্তার, কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল সিয়াম, শিক্ষার্থী রাজীব মিয়া, ঈষিতা মৌমিত, মাহিদ খান জীবন প্রমূখ।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় উপস্থিত সকলেই দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।