নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এবার রেশন কার্ড করে দেয়ার নাম করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তরুনীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকাবাসীর চাপে কয়েকজনরে টাকা ফেরতও দিয়েছে শ্রাবন্তী আক্তার চম্পা (১৯) নামে অভিযুক্তওই তরুণী।
সম্প্রতি উপজেলার সুয়াইর গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটানয় এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত তরুনী ওই গ্রামের আলম মিয়া এবং সুয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজেদা আক্তারের মেয়ে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সুয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতা সহ শতাধিক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় চম্পা।
রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে চম্পা শিক্ষার্থীদের অভিবাবক ও বিভিন্ন ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে কৌশলে তাদের নগদ একাউন্টে থাকা টাকা নিজ একাউন্টে নিয়ে নেয় চম্পা। বিষয়টি এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসীর চাপে সেই টাকা ফেরত দেয়। এরপর থেকে তাকে এলাকাতেও দেখা যাচ্ছে না।
সুয়াইর গ্রামের ডলি আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ইতি মনি ও আক্তার জানান, আমাদেরকে রেশন কার্ড করে দিবে বলে জানায় চম্পা। কিন্তু কিভাবে জানতে চাইলে বিষয়টি আমাদেরকে বুঝাতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইল হাতে নিয়ে টাকা তার একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়। বিষয়টি প্রথমে কেউ বুঝতে পারেনি। উপবৃত্তির টাকা তুলতে গিয়ে ব্যালেন্স খালি দেখে সবারই টনক নড়ে।
প্রতিবন্ধী হিমা আক্তার জানান, আমার প্রতিবন্ধী ভাতা ও দুই শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মিলে ৭ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়। পরে এলাকার মানুষ আমার টাকা তুলে দেন।
তরুনী এবং তার মায়ের সাথে কথা বরতে না পারলেও বিষয়টি স্বীকার করে তরুনীর বাবা আলম মিয়া বলেন, তুলে দিতেই নিজেদের লোকজনের টাকাই নিয়েছিল। পরে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া বলেন, বিষয়টি এলাকায় দেন দরবার করে শেষ করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান, শুনেছি টাকা ফেরত দিয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীদের উচিত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা। শাস্তি না হলে এ ধরণের অপরাধ কমানো মুশকিল।