নেত্রকোনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে (এসআইবিবিএল) এসে টাকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছেন। নানান কথা শুনাচ্ছেন কর্মকর্তাদের। দীর্ঘক্ষণ বসে অপেক্ষার পর টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা বলছেন, মুদি দোকানেও নগদ টাকার পরিমাণ কমপেক্ষ ২০ থেকে ৫০ হাজার থাকে। অথচ এই ব্যাংকে ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকাও তোলা যাচ্ছে না। এসময় ব্যাংক ম্যানেজারকে এক গ্রাহক বলেন টাকা দিতে না পারলে ব্যাংক খুলে রেখেছেন কেন? বন্ধ করে দেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের সাতপাই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক শাখায় গ্রাহকরা ঘুরে ঘুরে চলে যাচ্ছেন। মো. হুমায়ূন কবীর খান আলম নামের এক গ্রাহক মাত্র ২৪ হাজার টাকা তুলতে আসেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে এসে তিনি ঘুরতে ঘুরতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন। তখন ক্যাশ কাউন্টার থেকে তাকে ম্যানেজারের কক্ষে পাঠানো হলে সেখানে গিয়ে জানতে পারেন টাকা পাবেন না। কেন নিজের টাকা নিজেই তুলতে পারবেনানা এই নিয়ে বাক বিতন্ডা করেন। এক পর্যায়ে ব্যাংকে টাকা না থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, টাকা না থাকলে ব্যাংক বন্ধ করে দেন। খুলে বসে থাকার দরকার নেই। এই কয়টা টাকার চেয়ে আরও বেশি টাকা থাকে একটা মুদি দোকানে। আর ব্যাংকে থাকে না। এমন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে ভুল করেছেন বলে তিনি অফসোস করেন।
এদিকে একই সময়ে ঠিকাদার মাসুদ রানা ৫ লাখ টাকার জন্য যান। তার শ্রমিকদের খরচ দিতে হবে বলে জানালেও তিনিও ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ বসে থেকে কোন ভাবে ম্যানেজ করার জন্য চাপ দেন ম্যানেজারকে। বিভিন্ন গ্রাহককে ফোন করেও ম্যানেজার কোন কুল কিনারা করতে পারছেন না। কিন্তু চাপাচাপিতে পড়েছেন মারাত্মকভাবে। যেখানে ২৪ হাজার টাকা পাচ্ছে না সেখানে ৫ লাখ টাকার তো প্রশ্নই আসে না উল্লেক করে তিনি ওই ব্যবসায়ী বলেন ব্যাংকগুলো থেকে যেভাবে টাকা নিয়ে ফতুর করেছে এখন আমরা তো বিপাকে। কিভাবে চলবো এটাই ভেবে পাচ্ছিনা।
ব্যাংক ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, গত প্রায় দুইমাস ধরেই গ্রাহকরা কিছুটা আতঙ্কিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টাকা জমার পরিমাণ থেকে উত্তোলনের পরিমান বেশি থাকায় ছোট ছোট পেমেন্ট করতেও আমাদের এখন কষ্ট হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১১.৪৫ পর্যন্ত ৯৬ হাজার ২শত ৬০ টাকা গ্রাহকদেরকে দেয়া হয়েছে।
এরপরে যারা আসছেন তাদেরকে দিতে পারছিনা। যে কারণে অনেকে কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের তারল্য সহায়তা প্রয়োজন।