নেত্রেকোনায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) অভিযানে এস এ পরবিহণের মাধ্যমে পাচারের সময় বিপুল পরিমান ভারতীয় পন্য জব্দ করে একজনকে আটক করেেছ স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার রাতে নেত্রকোনায় এস এ পরিবহণের নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া কার্যালয়ে অভিযান চালালে ভারতীয় শ্যাম্পু ও শিশু খাদ্য জব্দ করা হয়।
এসময় পার্সেলকারী মমতাজ উদ্দিনকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া উম্মুল বানিন এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত মালামাল তালিকা করে নেত্রকোনা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গোয়েন্দারা জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে আসা চোরাইপন্য এস এ পরিবহন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস অফিসের মাধ্যমে নেত্রকোনা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরণ করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
বুধবার রাতে ১১বস্তা শাড়ী ঢাকার কাকরাইলে প্রেরণের জন্য মেমো কাটেন পূর্বধলা থেকে আনোয়ার হোসেন প্রেরিত প্রতিনিধি মমতাজ। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া উম্মুল বানিন এর নেতৃত্বে পার্সেল অফিসে অভিযান চালিয়ে দেখেন শাড়ির বদলে বিপুল পরিমান ভারতীয় প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য।
গোয়ন্দা সূত্র আরো জানায়, পূর্বধলা উপজেলার আনোয়ার হোসেন নামক জনৈক ব্যবসায়ী প্রতি মাসে ১০/১২ বার কাপড় প্রেরণের নামে ভারতীয় প্রসাধনী পাচার করে আসছিল। এস এ পরিবহণের মাধ্যমে তারা পাঠালে পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানেনা বিষয়টি আর্শ্চর্যজনক। আনোয়ার হোসেনের মালামাল পার্সেল করতে আসা পূর্বধলা পাট বাজারের কদর খানের পুত্র মমতাজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা এস এ পরিবহনের ম্যানেজার ফারুক আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পূর্বধলার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মাসে ১০/১২ বার নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ঢাকার মিরপুর এবং কাকরাইল মালামাল প্রেরণ করেন। শাড়ী কাপড়ের আড়ালে তিনি যে ভারতীয় অবৈধ পণ্য প্রেরণ করে তা আমার জানা ছিল না। জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়েই পাঠায় বলে আমরা নেই।
অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নেত্রকোনা মডেল থানায় মালামালসহ আটককে সোপর্দ করলে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের হবে।