নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সাবিনা (১৩) নামের এক কিশোরীর মরদেহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন বাবা। ফেইসবুক মাধ্যমে এমন একটি ছবি দেখে মানুষের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।
আর সেটি জানতে কলমাকান্দা পরিবারসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্ত এলাকা রংছাতি ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী সাবিনার মরদেহ এটি। শনিবার (২৯) সকালে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের দাবী।
বিষয়টি নিয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি এটি এম মাহমুদুল হকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিশোরী গতকাল শুক্রবার তার ফুফুর বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখান থেকে আম নিয়ে শনিবার সকালেই বাড়ি ফেরে। পরে বেলা ১১ টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি ফোন করে জানালে কলমাকান্দা থেকে রওয়ানা দিয়ে বেলা একটায় পৌছায় পুলিশ।
অত্যন্ত দুর্গম এবং পায়ে হাঁটার পথ হয়ায় সেখানে যেতে দুপুর হয়ে যায়। ওই বাড়িতে গিয়ে লাশ নীচে নামানোই পাওয়া গেছে। কিন্তু যে মেয়েটি আম আনতে ফুফুর বাড়ি গেলো এবং বিকালে গিয়ে পরের দিনই আম নিয়ে সকালে বাড়ি ফিরল সেটি না খেয়েই আবার মারা গেলো! এই বিষয়টি সন্দেহ জনক তাই আমরা ময়নাতদন্ত না করে দিতে পারিনা।
এক তো কিশোরী বয়স দ্বিতীয়ত নিজে আম নিয়ে এসে না খেয়েই মারা যাওয়া আরেকটা ব্যাপার।
তাই সুরতহাল রিপোর্ট শেষে কলমাকান্দা থানায় লাশ নিয়ে পৌঁছাতে রাত হয়ে গেছে। এখন এই রাতে নেত্রকোনায় পাঠালে আরো রাত বেড়ে যাবে।
সেইসাথে ঝরবৃষ্টিতে বাবা কোথায় গিয়া লাশের জন্য অপেক্ষা করবে এটাও একটা বিষয়। ওরা নিতান্ত গরীব।
তাই আমিই নিজ খরচে গাড়ি ঠিক করে দিয়েছি। বাবাকে খাবারও দেয়া হয়েছে। সার্বিক পাহাড়ায় আছে। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু এই মৃত্যুর অন্য কোন কারণ আছে কিনা সেটির জন্যই ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, সাবিনার ছোটবেলা থেকেই মানসিক সমস্যা ছিলো বলে তার বাবা জানায়।