করোনার পর নেত্রকোনায় এবার বন্যার প্রভাব পড়েছে বিনোদন কেন্দ্রে। জেলা সদরের একমাত্র বাণিজ্যিক বিনোদন পার্ক কিড্ডি কিংডমে এক সময় মানুষের তিল ধারণের ঠায় না থাকলেও এবার যেনো ফাঁকা ফাঁকা। তবে যারা আসছেন সন্তানদের নিয়ে তারা ফিরছেন আনন্দ নিয়েই।
ঈদের দিন বিকাল থেকেই মানুষের ঢল নামলেও এবার গত তিন দিনেও একদিনের মানুষের সমান হয়নি বলে জানান বিনোদন পার্কটির পরিচালক মো. শোয়েব তানভীর হিমেল।
দিনভর ঘুরে দেখা গেছে, জেলা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের বড় কাইলাটি গ্রামে চার একর জায়গায় গড়ে উঠা বাণিজ্যিক পার্ক কিড্ডি কিংডম। এতে বোট, দোলনা, ট্রেনসহ দশটি রাইড রয়েছে শিশুদের জন্য। বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা।
গেইটে ৫০ টাকা দিয়ে প্রবেশের পর সব ঘুরে দেখতে পারেন দর্শনার্থীরা। তবে শিশুদের রাইডে প্রতিটিতে ৩০ টাকা মূল্যে আনন্দ বেছে নেয় আগত শিশুরা। এতে করে খুশিতে ভরে যায় শিশুদের মন। সেইসাথে নানা বয়সের মানুষেরাও মেতে উঠে কিছুক্ষণের জন্য আনন্দ উল্লাসে। এদিকে আনন্দ দিতে পেরে অভিভাবকরা প্রশান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
ঢাকা থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নুসরাত শারমিন জানান, ছোট পরিসরে হলেও এখানে ঘুরে তৃপ্তি পাওয়া গেছে। অত্যন্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশে হওয়ায় বাচ্চাদেরও আনন্দ লেগেছে বেশ। প্রতিদিন শতাধিক দর্শানার্থী আসলেও ঈদ উপলক্ষে অর্ধ সহ¯্রাধিক মানুষের সমাগম হয়।
তবে গত দুই বছর করোনা মহামারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এবার বন্যাকলিত জেলা হওয়ায় কিছুটা ফিকে রয়েছে মানুষের ঈদ আনন্দ। যার প্রভাব পড়েছে জেলার একমাত্র বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে ওঠা এই বিনোদন পার্কে। তারপরও আনন্দ নিয়ে এবং আনন্দ দিতে পেরে খুশি সবাই।