চোরাই গরু বিক্রির টাকা লেনদেন নিয়ে (২০ ডিসেম্বর) খুন হন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মতিউর রহমান মতি (৬২)। এ ঘটনায় নিহতের চার স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রী আয়শাা খাতুনের (৫৬) মামলায় পুলিশ মো. সাজু খাঁ (৩৫) ও মো. আপেল (২১) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী মোতাবেক জানা যায় গরু চুরির পর বিক্রিতে টাকা লেনদেন নিয়েই তারা হত্যা করে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, আসামীদেরকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত কলমাকান্দা হাজির করা হলে তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন রিমি সাহা।
জানা গেছে, বুধবার কলমাকান্দা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের জনৈক লালচানের কাঁদাযুক্ত ফসলি জমিতে সাবেক ইউপি মেম্বার মতিউরকে মেরে ফেলে রাখে। মতিউরের ছেলে বাবুল সকালে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের নির্দেশনায় কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্দ লুৎফুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ)/মোঃ জুনেব খাঁন অভিযান পরিচালনা করে একই এলাকার দুজনকে গেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মো. সাজু খাঁন তাহার সহযোগী মোঃ আপেল সহ আরও দুই থেকে তিনজনকে নিয়ে চোরাই গরু বিক্রির টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তারা জানায়, মতি মেম্বারকে ডেকে নিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে মারা গেলে লাশ গুম করতে কাঁদাযুক্ত জমিতে নিয়ে ফেলে দেয়।