হাওরাঞ্চলের সড়কে কোটি টাকার ‘প্রতিরক্ষা প্রাচীর’, নির্মাণের প্রথম বছরেই ভেঙে যাওয়ায় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানসহ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে নেত্রকোনার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীবাসী। বুধবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুর গ্রামের ভূক্তভোগী একদল জনগোষ্ঠী।
মানববন্ধনে কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোড়ল ও স্থানীয় প্রভাষক ইকবাল হোসেন, আফজাল হোসেনসহ অনেকেই বক্তৃতায় বলেন, গত অর্থ বছরে খালিয়াজুরী এলজিইডি’র অধীনে পরিচালিত হাওরাঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন (হিলিপ) প্রকল্পের পক্ষ থেকে ১ কোটি ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যায় বরাদ্দ ধরে প্রতিরক্ষা প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয়েছে।
খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুর ঈদগাঁহ থেকে কল্যাণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের ওই প্রতিরক্ষা প্রাচীরটি প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। অনিয়মের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এ প্রাচীররের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই। সড়কের মাটি ভালো ভাবে শক্ত (কমপেকশন) করে ৬ ইঞ্চি প্রস্থের সিসি বক্স বসিয়ে প্রাচীরটি নিমার্ণ করার কথা ছিল। অথচ সড়কের মাটি ভাল ভাবে শক্ত না করেই মাত্র ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি প্রস্থের নিম্নমানের বক্স এখানে দায়সারা ভাবে বসানো হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, অনিয়ম করায় ওই প্রতিরক্ষা প্রাচরিটি নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই সামান্য ঢেউয়ে ভেঙে গেছে। তাই অনিয়মে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সারোয়ার জাহান এবং তদারকি ও বাস্তবায়নে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে প্রতিরক্ষা প্রাচীরটি ফের নির্মাণ করা হোক।
প্ররিক্ষা প্রাচীরটি বিধ্বস্ত হবার কথা স্বীকার করে খালিয়াজুরী উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. ইউনূস আলী বলেন, ওই কাজটি করতে গিয়ে ঊনিশ-বিশ হতে পারে। এ কাজে যদিও অনিয়ম হয় এটি কারো ইচ্ছায় নয়, অজান্তে হয়েছে। তবে শুস্ক মৌসুম এলে ওই কাজটি পুনঃরায় করা যায় কি না সে ব্যাপারে চেষ্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।