মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের বীরমাইজহাটী ও শিবপুর এই দুই গ্রামের কৃষকের ব্যক্তি মালিকানা ফসলি জমির মধ্যে জোরপূর্বক খাল খননের অভিযোগ উঠেছে। পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের টাংগুয়া গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বুধরার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর, বীরমাইজহার্টী ও শিবপুর দুই গ্রামের শতাধিক লোকজন লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার বীরমাইজহার্টী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান সহ ৭৫ জন কৃষক ও শিবপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম সহ ২৮ জন কৃষক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের ফসলি জমির মধ্যে দিয়ে টাংগুয়া গ্রামের কিছু লোকজন জোরপূর্বক খাল খননের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
এই খাল খননের ফলে আমাদের আবাদী জমি, বাড়ি ঘর সহ বেড়িবাঁধ ব্যপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
এছাড়াও এই খাল খননকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং যেকোনো সময় অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটনার সম্ভাবণা রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের টাংগুয়া গ্রামের কৃষক রেনু মিয়া, হাবি মিয়া, মুখলেছ মিয়া, শাহিন মিয়া এবং শিবপুর গ্রামের কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমীন ও কৃষক আল্লাদ মিয়া, হারুক মিয়া, সোহেল মিয়া জানান, তাদের হাওরে কয়েকশত হেক্টর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সারাবছর জলাবদ্ধতা থাকে। তাই তাদের ফসলি জমি বাঁচাতে একটি খাল খননের প্রয়োজন। তাই তাদের জমির উপর দিয়ে খাল খননের চেষ্টা করছে। আর যে সকল কৃষক অভিযোগ করেছেন তাদের অনেকের এই হাওরে জমি নেই তারা মিথ্যা অভিযোগ করে খাল খননের বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান (সোহাগ) বলেন, গ্রামবাসীর খাল খনন নিয়ে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় কয়েকবার বলা হয়েছে। টাংগুয়া গ্রামের কৃষকের ফসলি জমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে হলে খাল খননের প্রয়োজন। কিন্তু পাশ্ববর্তী দুই গ্রামের কিছু কৃষক তাদের জমি দিয়ে খাল খনন করতে দিতে যাচ্ছেনা। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম মিঞা বলেন, গ্রামবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।