শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
21.7 C
Netrakona
শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যকেন্দুয়ায় বখাটের ঘরে তালা দিলো গ্রামবাসী খুলে দিলো পুলিশ

কেন্দুয়ায় বখাটের ঘরে তালা দিলো গ্রামবাসী খুলে দিলো পুলিশ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চতুর্থ শ্রেনির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবেশী বখাটে হবিকুল ইসলাম (২৩) বাড়িতে তালা দিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেয়। ঘটনাটি জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের হরিগাতি মাইজহাটি গ্রামের। ঘটনার পর থেকে হারুন অর রশিদের ছেলে হবিকুল পালিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৮ মার্চ) ইফতার করার পর টয়লেটে যাওয়ার সময় হবিকুল এক সহযোগিকে নিয়ে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ধস্তাধস্তির ও চিৎকারের শব্দে মা বেরিয়ে দৌড়ে আগায়। পাশাপাশি অন্য প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। তারা দুজনের মধ্যে বখাটে হবিকুলকে ধরে ফেললেও কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন রোববার এলাকায় স্থানীয়রা শালিস ডাকলে অভিযুক্তের পরিবার শালিসে না আসে না। পরের দিন সোমবার গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে বখাটের ঘরে তালা দেয় এলাকাবাসী। এর মাঝে হবিকুল পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মী আসাদুল হক বাবুল জানান, এমন ঘটনার খবরে আমরা শালিসের চেষ্টা করি। সেখানে অভিযুক্তর পরিবার আসেনি। পরে গ্রামের মানুষ ওদের বাড়িতে তালা দিলে এরপর ওসি সাহেব গিয়ে তালা খুলে দিয়ে সম্পুর্ন নিজের জিম্মায় নেন বিষয়টি। তিনি এখন দেখছেন।
বখাটেরের চাচা সুলতান উদ্দিনের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি জানান, গত শনিবার ইফতারের পর আমার ভাতিজা মেয়েটি হাত ধরে টানাটানি করেছে। মেয়ের মা ফিরাইছে শুনছি। গ্রামবাসীরা আমাদের বাড়িঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। ছেলের বাবা হারুন অর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে শিশুর বাবা জানান, ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন। খবর পেয়ে রাতে বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন কেউ না বেেিরয় গেলে বড় সর্বনাশ হয়ে যেতো। আর এখন যেটি হয়েছে এটিও তো সবাই জেনে গেছে। কি করে আমার মেয়ে চলাফেরা করবে। আমি এর বিচার চাই।
শিশুটির মা জানান, আমার মেয়ের চেঁচানোর শব্দ পেয়ে আমরা দৌড়ে যাই। এসময় প্রতিবেশিরাও এগিয়ে আসে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত বখাটে হবিকুলের সাথে আরেকজন ছিলো তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মিটমিমাংসার চেষ্টা করলেও তাদের ডাকে তারা সাড়া দেয়নি বখাটের পরিবার। পরে গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় এবং ঘরে তালা লাগিয়েছে। তিনি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে তাদের ঘরের তালা খুলে দিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে শুনেছি ছেলেটি মেয়েটির সাথে কথা বলতে গিয়েছিলো।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments