নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মামার বাড়ির হামলায় ভাগ্নে নিহতের ঘটনায় পুলিশ হাফসা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করেছে।
আজ রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান।
গতকাল শনিবার রাতে মামাতো-ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে উপজেলার মাসকা ইউয়িনের কান্দাপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ওই গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে হারুন (২৫) নিহত হন।
স্বজন এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় কান্দাপাড়া গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আরমান (১৭) তার ফুফাতো ভাই রইছ উদ্দিনের ছেলে হারুনের (২৫) সাথে কান্দাপাড়া বাজারে যায়। সেখান থেকে ফিরে আরমান বাড়িতে গিয়ে তার ভাই হারুনের বিরুদ্ধে তাকে গালমন্দ করার নালিশ করে। এরপর হক মিয়া তার ভাগ্নে হারুনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় হারুন আহত হলে তাকে স্বজনরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ প্রেরণ করে। সেখানে রাতে মারা যায় আহত হারুন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই হক মিয়ার শ্যালিকা হাফছা নামের এক নারীকে আটক করে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে নেত্রকোনা গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আরমান আর হারুন মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা এক সাথে সন্ধ্যায় বাজারে ছিলো। পরে আরমান বাড়িতে চলে যায়। আরমানের বাবা হক মিয়ার কাছে ফুফাতো ভাই হারুনের বিরুদ্ধে বিচার দেয়। হারুন তাকে গালাগাল করেছে বললে আরমানের বাবা হক মিয়া লোকজন নিয়ে হারুনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
এতে হারুন আহত হলে তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহে রেফার করেন। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।