হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকার সমর্থন করার জেরে বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আনিছুজ্জামান ভূঞা ওরফে জামাল মিয়া নামে এক নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় দস্যুতার (ধারা: ৩৯২ পেনাল কোড) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ফণি ভূষণ ভদ্রসহ দলটির নেতারা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অভিযুক্ত ওই নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানিয়ে স্থানীয় কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত একটি আবেদনও করেন তারা।
ওই আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলার ১৩নং পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়নটির কাওয়ালীকান্দা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে সাদেক আহমেদ চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর সমর্থক হিসাবে কাজ করেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল মিয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়ী হন। কিন্তু এ নিয়ে সাদেক আহমেদ ও জামাল মিয়ার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে সাদেক আহমেদের ভাতিজা তরিকুল ইসলাম কৃষক লীগ নেতা জামাল মিয়ার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চাবিসহ স্থানীয় বৈরাটি বাজার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে জামাল মিয়া স্থানীয় লোকদের জানিয়ে তার গাড়িটি উদ্ধার করলেও মোটরসাইকেলের চাবিটি তরিকুলের কাছে রেখে দেয়। বহু চেষ্টা তৎবির করেও চাবি ফেরত না পেয়ে একপর্যায়ে জামাল মিয়া রাগান্বিত সাদেক আহমেদের মোটরসাইকেল নিয়ে যান এবং বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদেরকেও অবহিত করেন।
এ সময় জামাল মিয়া তাদের জানান যে, তার মোটরসাইকেলের চাবি ফেরত দিলে তিনি সাদেক আহমেদের মোটরসাইকেলটিও ফেরত দিয়ে দিবেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঘটনাটির সমাধান করতে ব্যর্থ হয়। পরে সাদেক আহমেদ বাদী হয়ে মূল ঘটনাকে আড়াল করে গত ১০ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানায় দস্যুতার একটি মামলা দায়ের করেন এবং এ ঘটনায় গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দুয়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে এ ঘটনায় জামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং তখনই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।