হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের অটোচালক এলমান হোসেন বাবু হত্যাকারী আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার ১৩ আগষ্ট দুপুরে সাহিতপুর বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে নারী শিশু সহ কয়েক শত লোক অংশগ্রহণ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন, সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ আজিজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য তারা মিয়া, বাজার কর্মিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, শ্রমিক নেতা ময়না মিয়া, নিহতের বাবা, শাহীন মিয়া, মা নাজমা আক্তার।
এসময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে বাবু হত্যাকারিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। এছাড়াও তারা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনাটি ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা অধরা থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্যে নানান প্রশ্ন তুলেন।
বক্তারা আরো বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আটিগ্রামের রুকন মিয়ার ছেলে সুমনকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করলেও হত্যার মামলার বাকি আসামীরা এখনও অধরা। এদিকে মানববন্ধন চলাকালীন সময় নিহতে বাবা, মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের দাবী পুলিশ তাদের বার বার আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু আসামিদের ধরতে ব্যার্থ হচ্ছে। মানববন্ধন চলাকালীন সময় কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ, মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, পুলিশ আসামীদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মামলার সুত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার পরদিন ২২ জুলাই দুপুরের দিকে সাহিতপুর বাজার মোড়ে নিহত এলমান হোসেন বাবুর সাথে মোটরবাইক চালক সুমন ও আরিফের রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথার কাটাকাটি ও হাতা-হাতি হয়। এরই জেরে কিছুক্ষণ পরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বাবু’র ওপর হামলা চালালে এখলাছ মিয়া ও শফিক ফিরাতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালায়। এ সময় বাবু ও এখলাছ গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ২৫ জুলাই নিহত এলমান হোসেন বাবুর পিতা শাহীন মিয়া বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০ জনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যামামলা সহ নানা অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছেন।