হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে সেচ পাম্প নিয়ে কৃষক পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয় কৃষক বলেন, বোর ধান গাছে শীর্ষ আসা শুরু করেছে। এই সময়ে জমিতে বেশি পরিমান পানি ধরে রাখতে হয়৷ কিন্তু লো ভোল্টেজের কারণে সেচ পাম্প চলছেনা তাই তারা জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচ দিতে পাচ্ছেন না।
লো ভোল্টেজের কারণে গত ২০ দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু সেচ পাম্প নষ্ট হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে শুধু সেচ পাম্প নয় সব শ্রেণির গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার (২৬মার্চ) উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নে সেচ পাম্পের মালিক আরিফ মিয়া বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ঠিকমত জমিতে পানি দিতে পারছিনা, এনিয়ে প্রতিদিন কৃষকের নানান কথা শুনতে হচ্ছে। লো ভোল্টেজের কারণে গভীর নলকূপের মিটার পুড়ে যাচ্ছে। সেচ পাম্প চলছে না। রাতের পেলায় কিছুক্ষন ভোল্টেজ পাওয়া যায় কিন্তু দিনের বেলায় একদম থাকেনা। তাই তিনি পর্যাপ্ত ভোল্টেজ সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কৃষক হাদিছ মিয়া বলেন, ঠিক মত জমিতে পানি দিতে পারছিনা,এই ভাবে যদি লো ভোল্টেজ চলতে থাকে তাহলে জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি এবং তিনি চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে। ময়মনসিংহ জোনে বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ১২০০ মেঃও এবং বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২০০ মেঃও। অর্থাৎ বর্তমানে প্রতিদিন পিক আওয়ারে প্রায় ২০০ মেঃও লোডশেডিং হচ্ছে। তম্মধ্যে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তর্ভুক্ত এলাকার চাহিদা প্রায় ১১০ মেঃওঃ এর বিপরীতে প্রায় ৪৫ মেঃও ঘাটতি।
কেন্দুয়া জোনাল অফিসের অন্তর্ভুক্ত এলাকার চাহিদা ২২ মেঃও এর বিপরীতে প্রায় ১১ মেঃও ঘাটতি থাকায় কর্মকর্তা – কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বেও অপ্রত্যাশিত লোডশেডিং হচ্ছে।