সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
14 C
Netrakona
সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যকৈশোর জীবনের বিদ্যাপীঠে হেলাল হাফিজের ছাপ

কৈশোর জীবনের বিদ্যাপীঠে হেলাল হাফিজের ছাপ

বাংলা সাহিত্যে দ্রোহ আর বিদ্রোহের তুমুল জনপ্রিয় শক্তিমান কবি হেলাল হাফিজের প্রয়াণে নিজ জেলা নেত্রকোনায় ভক্ত শুভাকাঙ্খি ও বন্ধু মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার সকালে প্রিয় কবি বন্ধুকে স্মরণে কৈশোর জীবন পার করা প্রথম স্কুল দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে যান তারা।

সেখানে স্মৃতিচারণ করেন কবি বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, হিমু পাঠক আড্ডার তরুণরা। কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন নির্মুহ একজন নিভৃতচারী মানুষ। যিনি স্বেচ্ছায় একাকীত্ব জীবন বেছে নিয়েছেন।

তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। হেলাল হাফিজের পৈত্রিক ভিটা আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে।

তিনি শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে পিতার সাথেই থাকতেন

দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। তিন বছর বয়সে মাতৃহারা হওয়ায় মায়ের অভাব পূরণ করতে বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে আরও দু’ভাই তিন বোনের জন্ম হয়।

এদিকে বড় হতে থাকেন কবি আর মাতৃবিয়োগের বেদনা আকঁড়ে ধরে। পিতা খোরশেদ আলী তালুকদার দত্ত উপ বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। সবাই ডাকতো পাগরীওলা স্যার। সেই সুবাদে পিতার বিদ্যালয়ের ছাত্র হন তিনি।
১৯৬৫ সনে মেট্রিক পাসের মধ্য দিয়ে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে সরকারী কলেজে ভর্তি হন। প্রতিবেশি সবিতা সেনের কাছে পড়তেন ছোটবেলায়। তখন থেকে মায়ের আদরে, ভাইয়ের আদরে শিশুকাল থেকে কৈশোরে পা রাখেন। পরে ১৯৬৭ সনে কলেজ শেষ করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়ে নেত্রকোনার পাঠ চুকিয়ে দেন।

মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কবিতার আশ্রয় নেন। যৌবনের ইতি টানেন নেত্রকোনা থেকে। এরপর সব মিলিয়ে পুরস্কার সহ মাত্র তিনবার এসেছিলেন নেত্রকোনায়। হেলাল হাফিজের বড় ভাই দুলাল হাফিজ ঢাকায় থাকলেও তিনি প্রেসক্লাবকে প্রথম ঘর সংসার ভাবতেন। দ্বিতীয় ঘর ছিলো সেগুন বাগিচার একটি হোটেল।
কিন্তু নেত্রকোনার ভক্তবৃন্দ এবং বন্ধুরা হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে কবির অনুপস্থিতেই ২০১৯ সনে হেলাল হাফিজকে সন্মাননা প্রদানের পর নেত্রকোনায় আসার প্রস্তুতি নেন। কবির স্মৃতি ধরে রাখতে কবির বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ তলায় হেলাল হাফিজ চত্বর ঘোষণার দাবী জানায় সংগঠনটি। কিন্তু করোনার মহামারি চলে আসায় কবিকে ভাই দুলাল হাফিজের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এক বছর পর আবারও হোটেল জীবনে ফিরে এলে শাহবাগে সুপার হোম হোটেলেই শেষ অব্দি ছিলেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments