গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় নাশকতা। ব্যাক্তি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একে অন্যের বাড়ি বা অফিস ভাংচুর ও পুড়িয়ে ফেলা সহ বেশ কিছু এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। তারমধ্যে ক্ষমতাসীন থাকা অনেকের প্রতিষ্টানেই ভাংচুরের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এ নিয়ে বিদেশি কিছু মিডিয়ায় খবর আসে মন্দির ভাংচুরের। এরমধ্যে দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক নেত্রকোনার নামও ওঠে আসে। তারমধ্যে যে দুটো মন্দিরের নাম ওঠে আসে সে সকল মন্দিরের আশ্রমের পুজারি জানেননা তার মন্দিরে হামলা হয়েছে। পূজা দিতে আসা আশপাশের কেউ জানেনা মন্দিরে হামলা হয়েছে।
তারা খবরে দেখে জানলো যে তাদের মন্দিরে হামলা হয়েছে। বাইরে থেকে অনেকে ফোন করেছে। সবগুলো গুজবে তারাও আশ্চর্য্য হয়েছেন বলে জানান। সরেজমিনে ঘুরে খবরে আসা তালিকার নেত্রকোনা সাতপাই রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, পুজারিসহ সকলের কাছেই অবাক করা খবরে তারা হতভম্ব।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পূজারি (তত্বাবধায়ক) উজ্জ্বল সরকার জানান, মন্দিরে হামলা হলে আমরা জানব না এ কেমন কথা। মন্দিরের উল্টোপাশে সড়কের ওপারে একটি চেম্বার রয়েছে এটিতে কিছুটা ভাঙচুরের শব্দ পেয়েছি। কিন্তু এটির সাথে মন্দিরের কি সম্পর্ক তিনিও বুছলেন না বলে জানান।
কমিটির সদস্য রঞ্জন সাহা বলেন, ২১ জনের কমিটি আমাদের। কেউই জানিনা। প্রতিবেশি স্বর্ণালি ভট্টাচার্য্য বলেন, খবরে দেখলাম আমাদের মন্দিরের নাম তাই অবাক হলাম। বাইরে থেকে সবাই ফোন দিলো।
আমাদের বাসা মন্দিরের সাথেই। ওই পাশে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্যের একটি চেম্বার ছিলো দোকানসহ। ওইটাতে ওইদিন কারা যেনো ভাংচুর করেছে শুনেছি। ওইটার সাথে মন্দিরের কি সম্পর্ক বুঝলামনা। কারা এমন খবর দিলো তাও অজানা।
কমিটির সদস্য পরিমল চন্দ্র দত্ত জানান নিজেরাই অবাক হয়েছি এমন খবরে। পরে ফেইসবুকে ছবি দিয়ে প্রতিবাদ করেছি। আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কারা করলো এটি প্রশাসনের বের করা উচিৎ বলেও জানান তিনি। এদিকে একই সড়কে কিছুদুরে ইসকন মন্দির। সেখানে গিয়েও একই চিত্র। খবরে ওই মন্দিরের নাম থাকলেও মন্দিরে থাকা মুক্তা সরকার বলেন এমন অবাক করা কথা শুনে তারাও অবাক। প্রমিলা সরকার বলেন ভারতের রিপাবলিক নামের টিভিতে খবর দেখে আমরা অবাক হয়েছি। আমাকে ফোন দিয়েছে আত্মীয় স্বজনরা।
মন্দিরের একজন প্রভু চৈতন্য দাস তিনি জানান মন্দির পার হয়ে পালপাড়া মোড়ে ছাত্রলীগের নেতা অপু সরকারের একটি চেম্বার ভাংচুর করেছে। সেটির সাথে তো মন্দিরের কোন সম্পর্ক নেই।