নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনায় দুইজনকে আটক করলেও মামলা দিতে গেলে বাধার মুখে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সাংবাদিক শফিকুলের ভাই রফিকুল ইসলাম তালুকদারকে বাধার মুখে আটকে রাখে। পরে সেনা ক্যাম্পে জানানোর পর নেত্রকোনা ক্যাম্পের উপ অধিনায়ক জিসানুল হায়দার সহযোগিতার আশ^াস দেন। এদিকে ভুক্তভোগীসহ সাংবাদিকরা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের স্মরণাপন্ন হলে তিনি মামলা নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর আগে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের সেতু মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪০) ও খালিয়াজুরী গ্রামের আঞ্জু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়াকে (৬০) আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, খালিয়াজুরী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলাম তালুকদার যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধিত্ব করে আসছিলেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক বিভিণœ সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।
বর্তমানে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উপজেলার সভাপতিও। এসকল নানা দায়িত্বে থাকার কারণে বিভিন্ন অপরাধের বিপক্ষে এমনকি মাদক নির্মুলে কাজ করে গেছেন।
গত বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বালুচর নামক স্থানে তিনি এবং ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মহসিন মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজনের সাথে চা খাচ্ছিলেন। এমন সময় অতর্কিতে তাদের দুজনের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে অন্যারা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাদের দুজনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক ভাবে সেলাই দিয়ে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎিসক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে শফিকুল ইসলাম তালুকদার মোট ৯ জনকে আসামী করে তার ভাই রফিকুল ইসলামকে দিয়ে খালিয়াজুরী থানায় মামলাটি পাঠান। কিন্তু সেখানে থানায় ঢুকতে এবং বের হতে আটকে রাখে হামলাকারী দুবৃত্তদের লোকজন। অবশেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন তালুকদার বৃহস্পতিবার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আজিজুল ইসলাম ও সিরাজ মিয়া নামের ২ জনকে আটক কারার বিষিয়টি নিশ্চিত করলেও শুক্রবার তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে কিনা জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।