Saturday, October 12, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যখালিয়াজুরী হাসপাতালের করুণ দশা ডাক্তার সংকটে সেবা বঞ্চিত হাওরবাসী

খালিয়াজুরী হাসপাতালের করুণ দশা ডাক্তার সংকটে সেবা বঞ্চিত হাওরবাসী

 

নেত্রকোনার দুর্গম হাওর জনপদের দ্বীপ উপজেলা খালিয়াজুরী। আর এই উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে করা হয়েছিলো আধুনিক। কিন্তু সেখানে ডাক্তার ও কর্মচারি সংঙ্কট দীর্ঘদিনের। যা চরম আকার ধারণ করেছে। একটি মাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া নেই কোন ক্লিনিকও।
হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যা বিষিষ্ট সরকারি এ হাসপাতালটিতে জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ ডাক্তারের ১৩ টি পদের মধ্যে ৭টি পদই শূন্য। বাকি ৮টি পদের বিপরীতে পোষ্টিং থাকলেও এদের মধ্যে ৭ জন ডাক্তারই অন্যান্য হাসপাতালে রয়েছেন প্রেশনে। এ হিসেবে খালিয়াজুরী হাসপাতালে ডাক্তার আছেন মাত্র একজন। ফলে একমাত্র ডাক্তারের ওপর এখন নির্ভশীল এখানকার বিশাল জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে মোট ১০৯টি পদের মধ্যে ৫০টিই শূন্য।

খালিয়াজুরী সদরের পুরানহাটি গ্রামের আশ্রব আলীর স্ত্রী সরুফা বেগম (৬০) গত সোমবার (২৩ সেপ্টেমর) বেলা ১২ টার দিকে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন বর্হির্বিভাগে। সেখানে সহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খুঁজেও কোন ডাক্তার পাননি। ডাক্তার না পেয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ‘খাইল্ল্যাজুরী হাসপাতালে কোন ডাক্তর খুইজ্যা পাইলাম না। ট্যাহার অভাবে অইন্য কোনখানেও চিকিস্যা নিতে যাইতাম পারি না। অহন চিকিস্যা ছাড়াই মরন লাগব আমরার মত গরীব মানুষরার’!
একই রকম কথা শোনালেন কুড়িহাটি গ্রামের হান্নান মিয়া (৩৫)। তিনি গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গিয়ে কাউকেই পাননি। তাই ক্ষোভে বলেন, অতবড় জাগাত বিল্ডিংও সুন্দর অহন যদি ডাক্তর না থাহে তাইলে হাসপাতাল ধইয়া পানি খাইয়াম ?

স্থানীয়রা জানান, ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ভবন রেখেই সকলকে ছুটতে হয় জেলা বা অন্য উপজেলায়। এখানে গর্ভবতী জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা পাওয়া দুস্প্রাপ্য। ফলে মা ও শিশু মৃত্যের হার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেকটা বেশি।
হাসপাতালে প্রায়ই ডাক্তার অনুপস্থিত কথাটি সত্য নয় বলে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৌনম বড়ুয়া বলেন, প্রতিটি সংকটের কথাই মাসিক ও বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ সয্যায় উন্নিতকরণের ভবন নির্মাণ হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল না থাকায় সেটি এখনো চালু হয়নি। তিনি আরও জানান, সঙ্কট কাটাতে সিভিল সার্জন পাশ^বর্তী হাসপাতাল থেকে এনে দু’জন করে ডাক্তার সংযুক্তি দিচ্ছেন প্রতি দু’সপ্তাহের জন্য।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments