Sunday, December 15, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যগত চার বছরে বজ্রপাতে হাওরাঞ্চলে ১৩৬ মৃত্যু জন সাধারণ শঙ্কিত

গত চার বছরে বজ্রপাতে হাওরাঞ্চলে ১৩৬ মৃত্যু জন সাধারণ শঙ্কিত

হাওর জেলা নেত্রকোনা। কৃষি ও মৎস্য এ জেলার প্রধান ফসল। কিন্তু স¤প্রতি বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। গেল ৪ বছরে বজ্রপাতে নারী শিশুসহ মৃত্যু হয়েছে সরকারী হিসেবে ১৩৬ জনের। বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে এই মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বজ্রপাতে অনেক মৃত্যু সরকারী ভাবে লিপিবদ্ধ হয় না। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, মৃত্যুর সাথে সাথে যেগুলো জানতে পারে প্রশাসন সেগুলোর জন্য ১০ বা ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন দাফনের জন্য। এইটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকে প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব। পরবর্তীতে তারা আর রাখেন না সেই পরিবারগুলোর খোজঁ। সেইসাথে প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকদের মাঝেও প্রচার করেন না কোন সচেতনতা বার্তা বা কার্যক্রম।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ঘনঘন বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গেল মঙ্গলবার (১৮ মে) জেলার হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন উপজেলায় একদিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদিন আহত হয়েছিলেন আরো ৬ জন। এছাড়াও চলতি মাসেই ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জেলার হাওরাঞ্চল মদনে তিন জন, কেন্দুয়া দুই জন, খালিয়াজুরীতে তিন জন এবং পূর্বধলায় একজনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়াও ছয়জন আহতদের মধ্যে এখনো মদনের রবিন নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের পরিবারগুলোতে এখনো বিরাজ করছে শোকের মাতম।

বজ্রপাতে হাওরাঞ্চলে মাছ ধরা বা জমিতে কৃষিকাজরত অবস্থায় ও বৃষ্টিতে শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা করার সময় এ প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে। এতে অনেকটাই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে অবাধে গাছ কেটে ফেলা ও অপরিকল্পিত নগরায়নকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা।

এমন অবস্থায় বজ্রপাত নিরোধে অচিরেই জনসচেতনতার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, স্থানীয় সংবাদকর্মী মোতাহার হোসেন চৌধুরী ও গবেষণাকারী সংস্থা বারসিকের মো. অহিদুর রহমানসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং হাওর জনপদের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকরা।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ২০১৭ থেকে বজ্রপাতে এ পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৩৬ জনের। এরমাঝে ২০১৭ সালে ২১ জন, ২০১৮ সালে ৪৩ জন, ২০১৯ সালে ৩১, জন ২০২০ সালে ২৭ জন ও চলতি বছরের গেল সপ্তাহ পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments