গত বছর সকল পরীক্ষার্থী ফেল করলেও এবার একজন পাস করে মান রেখেছে প্রতিষ্ঠানের। মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পাসের খাতায় নাম লিখেছেন মাত্র ১জন। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর স্কুল এন্ড কলেজের রেজাল্ট এটি।
গত বছর ১৯জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি। অটো পাস পদ্ধতিতে এবার সেই অবস্থা থেকে উন্নতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ জন। স্থানীয়রা বলছেন এমন অবস্থার জন্য শিক্ষাদান পদ্ধতি দায়ী। শিক্ষকরা কি পড়ান যে একজনও পাস করতে পারে না। এবার একজন পাস হলেও অটো পাস পদ্ধতিতে হয়েছে। যে কারণে এটাকে উন্নতি বলতে নারাজ সফর উদ্দিন নামের একজন অভিভাবক।
এদিকে প্রকাশিত ফলাফলের তথ্য বলছে পূর্বধলার খলিশাপুর স্কুল এন্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৯ জন শিক্ষার্থী এবছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে পাস করা একজন শিক্ষার্থী পেয়েছেন ৩ পয়েন্ট শূন্য। এ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও জেলার কলমাকান্দা মহিলা কলেজের ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে মাত্র দুজন আর একজন রয়েছে অপেক্ষমান।
কেন্দুয়ার গোপালপুর মডেল কলেজের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেও পাস করেছে মাত্র তিনজন। মদন উপজেলার বালালী বাঘমারা শাজাহান কলেজের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৮ জন শিক্ষার্থীই ফেল করেছে। এছাড়াও জেলা শহরের রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের ৪০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পাস করেছে মাত্র আটজন। তবে এত ফেলের মাঝেও রয়েছে ভিন্ন চিত্র।
কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একজনই পাস করেছে। এর ফলে জেলার একমাত্র শতভাগ পাসের হার এই কলেজেই। আর ৮৫ দশমিক ৮২ ভাগ পাসের হার নিয়ে জেলার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী সরকারি কলেজ।
এছাড়াও নেত্রকোনা সরকারি কলেজে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১৭৮ জন। মোট পাশের হার ৭৯ দশমিক ৩৪। চলতি বছর নেত্রকোনায় ১৪ হাজার ৫৭৭ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ৯ হাজার দুইজন। মোট পাশের হার ৬২ দশমিক ৯০।
খলিশাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল খায়েরের কাছে একজন পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা নিউজের কি দরকার? নিউজ দিতে হবে কেন পাসই তো করেছে।
গতবছর সবাই ফেল করেছে এবার ব্যতিক্রম তাই দিতে হবে বললেও তিনি বলেন ঠিক আছে পাস করছে দিয়ে দেন। নাম ঠিকানা জানেন না। তবে কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে নাম আশিকুল খান পাভেল বলে শিক্ষার্থীর নামটি জানান। মানবিক শাখায় অংশ গ্রহণ করেছে।
তবে গতবারের তুলনায় শিক্ষার্থী ১০ জন কম জানতে চাইলে জানান, ভালো করে পড়েনি যারা তাদেরকে বাদ দিয়েছেন। নিন্মমানের পড়ালেখার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন ভালো করেই পড়ান। তবু পাস করতে পারে না।