বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
28.5 C
Netrakona
বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যচব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আটক হয়নি ধর্ষক

চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আটক হয়নি ধর্ষক

নেত্রকোনার আটপাড়ায় শিশু ধর্ষণের চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আটক হয়নি ধর্ষক। এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সক্রিয় একটি চক্র। অন্যদিকে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে চব্বিশ ঘণ্টা পর বুধবার রাত ১০ দিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে আসামির তথ্য দেয়নি আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান। তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসতেই মামলা নেয়া হয়েছে আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যরাতে আটপাড়া উপজেলার লুনেস্বর ইউনিয়নের নারাচাতল গ্রামে খালি ঘরে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে নেত্রকোনা ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়, স্বজন ও হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মা মরা শিশুটি বাবার সাথে বাড়িতে থাকেদিনমজুর বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী যুবক অন্তর মিয়া শিশুর ঘরে ঢুকে মুখচেপে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর মিয়া নামের যুবক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিশুর বাবা বাড়ি এলে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য অভিযুক্তের চাচা আজিজুল ও মামা মাজুসহ অন্যরা মিমাংসা করতে বসে। ছেলেকে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলে ছেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় ছেলেকে তারা পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে শিশুর শরীরে জখমে রক্তপাত না থামলে শিশুটিকে বাবা রাত ১টার দিকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মেডিকেল অফিসার ডা. এ এম এফ ফজলুল হক নেত্রকোনায় রেফার্ড করেন।
তখন নেত্রকোনা নিয়ে আসলে নেত্রকোনা থেকেও ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন অন্তর আমার চাচাতো ভাইয়ের দিকে ভাতিজা। আমি মিমাংসা করতে চেয়েছিলেন এটা সত্য। ছেলের বাপ রাজি হয়নি। বিয়ে দিয়ে দিতাম। কারণ মামলা করে কি হবে? এক বছর জেলই খাটবে। মেয়ের বাবাটা দিন মজুর একদম গরীব। ছেলেরাও অত গরীব। তবে অতটা না। আমি ছেলেকে জিগেস করেছি সে না করেছে। মেয়েটা এমন সমস্যা করেছে আরও বলে তিনি বলেন বিয়ে পড়িয়ে দিতে বললে তারা রাজি হয়নি এই।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আমি খবর পেয়ে রাতেই সাথে সাথে আটপাড়া হাসপাতালে যাই এবং ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলি।
নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের অফিসার এস এম এ সেলিম জানান, তারা খোঁজ নিয়ে ময়মনসিংহের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। চলতি বছর মোট ৮ টি ঘটনায় হাসপাতালে ভিকটিম পাওয়া গেছে।
আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান দিনভর ফোন না ধরলেও রাতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ তো সারাদিন দিতে পারেনি। এখন আসতেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগে কি তা বলেননি। কয়জন আসামি এটাও বলেননি। মামলা কোন কারণে প্রভাবিত হবে কিনা এ বিষয় জানতে চাইলে বলেন এসব কিছু হবে না।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments