সোহান আহমেদ কাকন,নেত্রকোনা: দীর্ঘ দিনেও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ হাওরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা।
তেুতলিয়া থেকে গাগলাজুর পর্যন্তক মাত্র ৭ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও দেখার কেউ নেই। তবে চলতি মৌসুমে ফসল উঠার আগেই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিত কুমার কুন্ড।
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের মাঝে মোহনগঞ্জ অন্যতম। আর এই মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ও গাগলাজুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা জুরেই রয়েছে হাওরাঞ্চল। বছেরের বেশীরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকায় এখানকার মানুষের একমাত্র ফসল বোরো ধান। কিন্তু জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন
মোহনগঞ্জ থেকে তেতুলিয়া হয়ে গাগলাজুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দের।
কিন্তু শুষ্ক মৌশুমে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির বেহাল অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই হাওর এলাকার উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষীরা। বিশেষ করে তেতুলিয়া থেকে গাগলাজুর পর্যন্ত ডুবন্ত ৭ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে গর্তের ফলে সড়কটি এখন পরিনত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। যদিও গেল বছর
কোটি টাকা ব্যায় করে সরকটি মেরামত করলেও পানি আসার আগেই ভেঙ্গে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্তমানে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে কয়েকশত যাত্রী ও মালবাহি যানবাহন।ঘটছে ছোটবড় অসংখ্য দূর্ঘটনাও।
এমন অবস্থায় প্রতি বছরের ন্যায় আসছে মৌশুমেও ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থাণীয়রা। তাই দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন কৃষক কৃষানীসহ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী সাধারন মানুষ যান বাহনের চালকরা। তারা জানান,