এখানে চীনামাটির পাহাড়, যার বুক চিরে জেগে উঠেছে এই নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদা মাটির মাঝে রঙটাকে যেন আরও বেশি গাঢ় করে দিয়েছে। তবে বিরিশিরি গিয়েই আপনি এ সুন্দর দৃশ্য আপনি দেখতে পারবেন না। আপনাকে যেতে হবে আরেকটু দূর বিজয়পুর চীনা মাটির পাহাড়ে। দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ও এর আশপাশের এলাকায় রয়েছে চিনামাটির খনি।
চিনামাটি মূলতঃ সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল। খনিজ সম্পদ ব্যুরোর ১৯৫৭ সালের তথ্যানুযায়ী, এ এলাকায় চিনামাটির মজুদ প্রায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এটি দিয়ে বাংলাদেশের তিনশ বছরের চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে তখন বলা হয়েছিল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো থেকে অনুমতি নিয়ে কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানী এখানকার চিনামাটি আহরণ করছে। প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক মাটি খননের কাজ করছে খনিজ প্রকল্পগুলোতে। এরপর তা পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিরামিক শিল্পের কারখানাগুলোতে। চিনামাটির এসব টিলা বা পাহাড় দেখতে খুবই মনমুগ্ধকর। বাহারি এর মাটির রঙ। লাল, সাদা, নীলাভ। এ যেন প্রকৃতিক আরেক নিসর্গ।