নেত্রকোনায় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় জুয়া চালানোর মূল হোতা হাবলু মেম্বার আটক। শুক্রবার বিকালে তাকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ পুর গ্রামের আবিল মিয়ার পুত্র হাবলুকে মাদক ও জুয়া বিরোধী বিশেষ অভিযানে মডেল থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে আটক করেছে। পুলিশের এস আই নাজমুল হুদা জানান, গোপন সংবাদের খবরে বুধবার মধ্য রাতে সদর উপজেলার মেদনী এলাকায় গড়াকান্দা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওই এলাকার জনৈক নজরুল ইসলামের উঁচু ভিটিতে জুয়া খেলছিল ২০ থেকে ২৫ জন জুয়ারী। প্রাপ্ত এমন তথ্যে নিশ্চিত হয়ে মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় জুয়া খেলারত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবলসহ ৩ জনকে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জুুুুয়া খেলার প্রশ্রয়দাতা ও পালিয়ে যাওয়া জুয়ারীদের খুুঁজে অভিযান অব্যাহত রাখে পুুলিশ।
পরে স্হানীয় ইউপি সদস্য জুয়া বোর্ডের পরিচালক হাবলু মেম্বারকে জুয়া পরিচালনার জন্য খেলার প্রশ্রয় দাতা হিসেবে বিশেষ অভিযানে আটক করে পুুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন জুয়া ও মাদকের ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান কঠোর, জুয়ারী, মাদকসেবি ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রশ্রদাতাদের কোন ছাড় নেই, মাদক ও জুয়া বিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দাযেরপূর্বক বিজ্ঞ আদলতে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মেদনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ৯০দশকের ছাত্রলীগ নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান খান নোমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আটককৃত মেম্বারের নামে জুয়া ও মাদক সম্পৃক্ততার কথা অনেকেই বলেছে আমাকে। তাকে কয়েকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করার পরও এসব অনৈতিক কাজ হতে নিজেকে দুরে রাখতে পারে নি।
স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নে প্রত্যন্ত গ্রামে জুয়ার আখড়া গড়ে তুলেছিল। যার ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। বর্তমান ওসি খন্দকার শাকের আহমেদকে মাদক, জুয়া বিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অভিযান জোরদার ও অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।