অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ঐহিত্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেত্রকোনায় জেলা সংসদের পঞ্চাদশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
শুক্রবার (্১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পাবলিক হলের সামনে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় উদীচীর অধ্যাপক যতীন সরকার।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো “শ্রেণিভেদ ভাঙ্গি শোষিতের রোষে, স্ম্রীতির মালা গাঁথি ভেদাভেদ নাশে”। পরে সংগঠনের গান গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। উদ্বোধন শেষে পাবলিক হলের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় শহরে।
শহর প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পুনরায় সম্মেলনস্থল পাবলিক হলে এসে সমাপ্ত হয়। এতে উদীচী কর্মী ছাড়াও জেলা শহরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
উদ্বোধনকালে বরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, স্বাধীনতা নিজেই একটা বড় প্রাপ্তি। সেই স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়নও যে একেবারে হয় নাই তাও নয়। অনেক উন্নয়ন অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য এখনো সমাজে বিদ্যমান। উদীচী বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী চায় প্রকৃত সংস্কৃতির সংগ্রাম গড়ে তুলতে। এই লক্ষ্যে উদীচী কাজ করে যাচ্ছে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি শৃঙ্খল ধারাবিহকতায়।
বেলা সাড়ে ১২ টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা শেষে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় উদীচীর সহ সভাপতি হাবিবুল আলমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় তারা বলেন সাম্য, মানবিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্খা ধারণ, লালন ও পালনে সদা জাগ্রত বাংলাদেশ উদীচী। করোনা মহামারিকাল অবসান হতে চললেও বাড়ছে ধনী-গরীবের প্রভেদ, মাঝে মাঝেই উসকে উঠছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস। এমনই এক সময়ে উদীচীর ১৫ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে গতিশীল করে বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় উদীচীর লড়াই সংগ্রামকে আরো বেগবান করবে।
এরপর কাউন্সিল অধিবেশন শেষে রাত ৮ টায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান আয়োজকরা।