আজ মাঘের শেষ তৃতীয়াংশের প্রথম দিন। শুক্রবার সকাল থেকেই বইছে হিমেল হাওয়া। এ হাওয়ায় কখনো শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। কখনো বা ঝিমধরা। আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। মগড়া নদীর পাড় ঘেঁষা নেত্রকোনা শহরের নদীর ওপারের গাছগুলোর দোলাদুলি যেনো এক অদ্ভুদ সুন্দর দৃশ্য। পাশাপাশি ঠান্ডায় শীতল হয়ে পড়ে শরীর।
নদীর পাড়ের আশপাশের বাড়িগুলোর দরজা কিঞ্চিৎ খোলা পেলেই হুরহুর করে ঢুকছে শীতল বাতাস। শরীরে শুরু হয় কাঁপুনি। এদিকে সূর্যও তেমন আলো দিচ্ছে না। গাছের দিকে তাকালে চোখে পড়ছে হেলে দুলে বাতাসের সাথে নৃত্য তাল মেলানো দৃশ্য। সেইসাথে উড়ে পড়ছে শুকনো পাতারা। আর এতেই জানান দিচ্ছে বসন্ত বেশি দূরে নয়।
আগমন ঘটছে ঋতুরাজ বসন্তের। শীত শেষে তার আগমনে যেমন প্রকৃতিতে যৌবন ফিরে আসে তেমনি মানুষের মাঝেও এক ধরনের মানসিক পরিবর্তন ঘটে। মন হয়ে ওঠে উরু উরু। জীর্নশীর্ন শুকিয়ে পড়া মগড়া নদীর পানিটিও যেন টলটল রূপ ধারণ করে চলেছে ধীরে ধীরে।
এমনি এক সুন্দর আবহাওয়ায় প্রকৃতির মতো অনেকের মনে আনন্দের দোলা লাগলেও নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের কিছুটা কষ্ট বেড়ে যায়। ঠান্ডায় জমে গেলেও কাজে বের হতে হয় তাদেরকে। রিক্সার প্যাডেল মারতে হয় মধ্য বয়সি কুদ্দুসকে। পিঠার দোকানি মোর্শেদার কাজ রেখে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘরে বসে থাকবার সুযোগ নেই। অথচ এমন দিনের অমেজ নিতে অনেকেই বাড়িতে বাসান খিচুড়ি খাওয়ার আড্ডা।
আর কদিন বাদেই ১লা ফালগুন। এবার ফালগুনে করোনায় হচ্ছে না কোন ধরনের আয়োজন। তবু আসবে ফাগুন, ফুটবে ফুল। এক সুরে সবাই বলে উঠবে “ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক এসেছে বসন্ত।”