ট্রেনে আগুন, লাইন কেটে ফেলাসহ নাশকতার বিরুদ্ধে নেত্রকোনায় মানববন্ধন করেছে সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক জোটবদ্ধ হয়ে বুধবার দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া পৌর সভার মোড় সামনের সড়কে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
নেত্রকোনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সম্মিলিত ব্যনারে প্রতিবাদ করেছে। এতে জেলা শহরের সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু অংশ নিয়ে বলেন, দেশটাকে স্বাধীন করেছি মানুষ পুড়িয়ে মারবার জন্য নয়। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য। মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য। যারা এগুলো করছে তারা এই দেশের মানুষকে ভালোবাসেনা। তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। জেলায় একটি উন্নত মানের ট্রেন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বারবার ট্রেনটিতে আঘাত হানছে। এসময় মানববন্ধনে প্রতিটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, আগুনে পুড়িয়ে মারা কোন মানুষের কাজ নয়। তাই এই ধরনের অমানুষিক কার্যক্রমে জড়িতদের না বলুন। সেই সাথে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী আন্ত:নগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় নাশকতাারীরা। এতে চারজনের মরদেহ বের করে উদ্ধারকর্মীরা। তার মধ্যে তিন বছরের শিশু সহ নাদিরা আক্তার পপি নামের নেত্রকোনার দক্ষিণ বিশিউড়ার নারী পুড়ে কয়লা হয়ে পড়েন। এদিকে আরও একজন নেত্রকোনা শহরের ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি রশীদ ঢালী নামের এক ব্যাক্তি পড়ে কয়লা হয়ে পড়লে স্বজনরা পড়নের কাপড় দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে রাতে দাফন সম্পন্ন হয়।