সোহান আহমেদ ঃ
মোবাইল ফোনে রির্চাজ করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নেত্রকোনার রৌহা ইউনিয়নের বড়গাড়া এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরতদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
পরবর্তীতে চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের ঘটনায় দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজমান।
যেকোন সময় আইন শৃংঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ নভেম্বর বিকেলে গাড়া এলাকার মৃত রাজ আলীর ছেলে ফজর আলী (৭০) স্থানীয় আশরাফ উদ্দিনের ( ২৮) দোকানে মোবাইল ফোনে টাকা রির্চাজ দিতে বললে টাকা না দিয়ে মিনিট দেয়ায় দেখা দেয় দ্বন্দ। টাকার পরিবর্তে মিনিট কেন দিলো? জানতে চাওয়ায় তা বুঝাতে না পেরে এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ফজর আলীকে গালমন্দ করেন দোকানদার সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন।
পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর বৃদ্ধ ব্যাক্তির সাথে অসদাচরন শোনে আশ্রয়নে বসবাসরত স্বজনরা আশরাফকে জিজ্ঞেস করলে আবারো উত্তেজিত হয় সে। এক পর্যায়ে র্পাশবর্তী চা দোকানদার বড় ভাই সৈয়দ রনি আহম্মদ ও পিতা সাহাব উদ্দিন হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে ফজর আলী ও স্বজনরা।
এ সময় ঘটনাস্থল হাতাহাতির সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের বেশ কজন আহত হয়। এ সময় রনির হাতে থাকা ধারালো ছোড়ার আঘাতে কানের পাশে আঘাত প্রাপ্ত হন ফজর আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (১৮)। পরে তাকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হয় ।
এ সময় দুপক্ষের মাঝে দোকানে থাকা চেয়ার ছুড়াছুড়িতে বেশ কিছু চেয়ার ভাঙ্গার ঘটনাও ঘটে বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
কিন্তু ঘটনার ৪দিন পর ১৬ নভেম্বর সৈয়দ রনি আহম্মদ আহত হওয়ার প্রাথমিক তথ্য দেখিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামী করা হয় ফজর আলী ও আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে।
এতে উল্লেখ করা হয় যে, রনি আহম্মদের চায়ের দোকান ভাংচুর করিয়া ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও পার্শবর্তী আশরাফের ঔষধের দোকান থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার।
এমন অসত্য বনোয়াট মামলায় চরম হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগীরা। তাদের দাবি হয়রানি মূলক মামলাটি প্রতিকারে সুষ্ট তদন্ত করে নিষ্পত্তির।
এদিকে সৈয়দ রনি আহম্মদ ও আশরাফ উদ্দিন বলেন, আশ্রয়ন পকল্পে বসবাসরত সকলেই একত্রিত থাকায় কিছু দিন পর পর তাদের উপর হামলা চালানো হয়। তাই সুবিচার দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন তারা।