হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া:
নেত্রকোণা কেন্দুয়ার খাস খতিয়ানের জায়গা লীজে এনে সমিতি করার টাকা নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে ২ পক্ষের মাঝে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
আহতের মাঝে সুলেমান (৩০), বকুল মিয়া (২৫), শহিদুল্লাহ (৪২), আবুল কাশেস (৫২), মিরন (৩০), উসমান (৫০), আবুল (৫৫), তাহের উদ্দিন (৪০) এবং কাইয়ুম (৫০) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রায় ২ ঘন্টা চলা সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ, পাশ্ববর্তী মদন থানা পুলিশ এবং নেত্রকোণা পুলিশ লাইন হতে অতিরিক্ত পুলিশ এসে যৌথভাবে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ৬ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা চংনোয়াগাঁও গ্রামে। খবর পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সিনিয়র পুলিশ সুপার কেন্দুয়া সার্কেল জুনায়েদ আফ্রাদ, কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ, কেন্দুয়ার ইউএনও মঈনউদ্দিন খন্দকার, এসিল্যান্ড খবিরুল আহসান প্রমুখ সংঘর্ষ স্থলে ছুটে যান।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ, থানার সেকেন্ড অফিসার সামেদুল ইসলাম ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা চংনোয়াগাঁও গ্রামে খাস খতিয়ানের জায়গা সমিতির মাধ্যমে লীজ এনে সমিতি চালিয়ে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে আধিপত্ত্য বিস্তার এবং সমিতির টাকা নিয়ে চংনোয়াগাঁও গ্রামে সুরুজ খানের ছেলে মজনু মিয়া এবং একই গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে মামুনুর রশিদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। এরেই জের ধরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘন্টা উভয়পক্ষের সংঘর্ষ চলে।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ শর্টগানের গুলি ছুঁড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।