বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
28.5 C
Netrakona
বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যদুর্গাপুরে সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের কাঁটাতার দেয়ার চেষ্টা

দুর্গাপুরে সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের কাঁটাতার দেয়ার চেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ভবানিপুর এলাকায় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি‘র) বাধায় বন্ধ রাখে কাজ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ফারাংপাড়া ভবানিপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ভবানিপুর ১১৫৬ নং সীমান্ত পিলারের কাছেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরের একটি সড়কের কিছু অংশ গত ২০২৩ সনের বন্যায় ভেঙ্গে নদীতে মিলিয়ে যায়। যে কারণে এদিকের মানুষের চলাচলের জন্য কিছুটা ভারতের শূন্যরেখা অংশের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। ফারাংপাড়া ভবানিপুর বিওপি পর্যন্ত একমাত্র ভাঙ্গা সড়ক ও ব্রিজটি র্দীঘদিনেও মেরামত বা নির্মাণ না হওয়ায় সীমান্তের বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির চলাচলের বিঘœ ঘটছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কয়েকবার মানুষের চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে বলে স্থানীয়রা জানান। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিএসএফ সীমান্ত পিলার ঘেঁেষ কাঁটাতারের বেড়া দিতে চাইলে স্থানীয়রা প্রথমে বাধা দেয়। পরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) গিয়ে কথা বলে বিএসএফকে ফিরিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্ধা কৃষক তোতা মিয়া বলেন, এই সমস্যার জন্য দায়ী সীমান্তবর্তী রাস্তা ও ব্রীজ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক বছর ধরে রাস্তা নির্মান কাজ নিয়ে গড়িমশি করছে ঠিকাদার। আমাদের দেশের রাস্তা ও ব্রীজের কাজ চলমান থাকায় ভারতের সীমান্ত রেখার কয়েক গজ ভেতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বেশ কয়েকজন স্থানীয়সহ বিজিবি সদস্যদের ভাষ্যমতে “আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্ত পিলার থেকে দেড়শ’ গজের মধ্যে ফসল চাষ ছাড়া স্থায়ী কোনো স্থাপনা কিংবা বেড়া দেয়ার কোন নিয়ম নেই। যার কারণে এই সীমান্তের উত্তর ফারাংপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বুধবার বিএসএফ সদস্যরা আর্ন্তজাতিক আইন ভেঙ্গে বেড়া নির্মাণ করতে আসে। জানতে পেরে তাদেরকে বাঁধা দিলে সেই বাঁধার মুখে কাজ না করেই ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ৩১ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কথা বলায় তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে দিন দিন সোমশ^রী নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। যে কারণে সীমান্ত পিলারের শূন্য রেখার ভেতর দিয়ে আমাদের দেশের মানুষের চলাচল করতে হয়। সড়ক ও ব্রিজের কাজটি বন্ধ না রেখে সম্পন্ন করে দিলে এই সমস্যা হতো না।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments