সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন হতদরিদ্র শাতধিক পরিবার। উপায় না পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী ব্যবস্থা না হলে নদী গর্ভে বিলীন হবে শত বছরের পুরনো একটি গ্রাম। যদিও ভাঙ্গন রোধে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বালু ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়ার দাবি জনিয়েছেন গ্রামবাসী।
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর সবচেয়ে বড় ও খরস্্েরাতা নদী ধনু। নদীটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার মাল বোঝাই নৌযান চলাচল করে। ফলে তীব্র ঢেউ ও খরস্রোতের কবলে পরে ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে নদী তীরবর্তী বেশকটি গ্রাম। এরমাঝে খালিয়াজুরী উপজেলার ২নং চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামেই সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, গেল কয়েক বছর ধরে ভাঙ্গন শুরু হলেও চলতি বছর ভাঙ্গনের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুন। এরই মধ্যে অন্তত শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে গবাদি পশুসহ শিশু কিশোরদের নিয়ে অনেকটাই মানবেতর দিন কাটছে এ গ্রামের মানুষগুলোর। গ্রামটিতে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েও কোন রকম বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন তারা। সহায় সম্বল হারিয়ে উপায় না পেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত অনেকইে। যদিও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভাঙ্গন প্রতিরোধে সাময়িকভাবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে বালু ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এমতাবস্থায় গ্রামটি রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসী।
এদিকে অচিরেই গ্রামটি রক্ষায় অন্তত ৩৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। তাই সাময়ীক ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষ ঠিকাদার নির্বাচিত করে প্রাথমিক ভাবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বস্তা ফেলা হয়েছে। এতে ভাঙ্গন কিছুটা কমেছে। তবে বরাদ্ধ পেলে গ্রামটি রক্ষায় নতুন প্রকল্প হাতে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত।
শুধুমাত্র অশ্বাস নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামটি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিবেন কতৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা হাওরবাসীর।