সোহান আহমেদ:
বিশৃ্খংলা এড়াতে সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তালিকা তৈরী করেও ঠেকানো গেলো না টিসিবি পন্য বিক্রিতে উদ্বোধনী দিনেই অব্যবস্থানার চিত্র।
রবিবার সকাল থেকে ক্রেতারা অপেক্ষা করলেও বেলা ১২ টার দিকে পন্য নিয়ে ট্রাক ঢুকে নেত্রকোনা আধুনিক ষ্টেডিয়াম মাঠে। অবশেষে নানা অব্যবস্থাপনার মাঝেই জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পন্য বিক্রয় কার্যক্রম।
সারা দেশের ন্যায় ৮৬ টি ইউনিয়ন ও ৫ টি পৌরসভায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, প্রথম দিনে জেলা সদর উপজেলায় পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে ১৭৫০ জনকে দেয়া হচ্ছে পন্য।
জানা গেছে, জেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার ৪শ ৩৭ জন উপকারভোগীর নিকট ভতুর্কী মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হবে। ১০ উপজেলার ৮৬টি উইনিয়ন ও ৫টি পৌরসভায় সর্বমোট ২৭২টি স্পটে ৪০ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ম পর্যায়ে প্রতি উপকারভোগীর মাঝে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মশুর ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রিয় করা হবে।
টগবগে রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁেিড়য় বসে অপেক্ষা করেন হতদরিদ্রসহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শত শত মানুষ। রোদ ও গরম উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য নারী পুরুষের অভিযোগ, এমন অব্যবস্থাপনায় যেহেতু টিসিবির পণ্য কিনে নিতে হবে তাহলে কার্ড করার দরকার ছিলো কি ? এসময় তারা আরো বলেন, এক একবার প্রশাসনের এক এক ডিসিশনে হয়রানী হয়েছেন।
এদিকে মূলত রমজান শুরুর আগে ও রমজানের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি পরিবার ২ বার টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ভর্তুকী মূল্যে কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। উদ্বোধনীকালে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান জানান, বিতরণ কার্যক্রমের প্রথম দিন হওয়ায় কিছুটা অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত মানুষ রয়েছে। প্যাকেট না করলেও তারা দিতে পারেবেন। তবে আজকের প্রথম দিনের থেকে আগামী দিনগুলোতে ভালো হবে।
এদিকে পন্য নিতে আসা কার্ডধারীরা আরো জানান, কার্ড করার এখন এক এলাকার মানুষ অপর এলাকা থেকে নিতে পারবেনা। কিন্তু এখন পন্যও মাপমতো দেয়া হবে। তাহলে কেন প্রশাসন আগে থেকে প্যাকেট করে সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করে রাখতে পারলেন না। দুপুরে গাড়ি এসেছে। আমরা তো কাজ ফেলে ৪৬০ টাকার তেল ডাল চিনি নিতে দিন পার করে দিচ্ছি।