নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় শনিবার রাতে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, পূর্বধলা উপজেলার ধোবারুহি গ্রামের লিটন খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার (২৫), বালুচরা গ্রামের আবুল কাশেম তারুকদারের ছেলে আশিক হাসান ওরফে আল আমিন, ইলাশপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া তালুকদার (২১), একই গ্রামের বাবুল চৌধুরীর ছেলে আরমান চৌধুরী (১৯), মো. তাজ উদ্দিনের ছেলে মো. মোস্তাকিম (১৯) ও উজ্জল রায়ের ছেলে দীপ্ত রায় (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে পৌনে আটটার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের বালুচরা এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। শাহাদত হোসাইন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের (ভাতিজা) বড় ভাইয়ের ছেলে। তার নেতৃত্বে মিছিলে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো নেতাকর্মীরা মুখে মাক্স অথবা হেলমেট পড়া অবস্থায় স্লোগান দিতে বেশ কিছুদূর গিয়ে মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে দ্রুত সবাই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুক আইডিসহ নিজেদের আইডি থেকে মিছিলটি আপলোড করা হয়। দিনব্যাপী খোঁজ না পেলেও সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সবার নজরে আসার পর পুলিশ রাত পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করে।
পরে পূর্বধলা থানার এসআই অভি আকন্দ বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এই প্রথম জেলায় কোন মিছিল বের হয়।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, একদম ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন মাত্র কয়েকজন দু’তিন মিনিট একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। দেখে দেখে ৬ জনকে আটক করার পর মামলা হয়েছে।