নেত্রকোনা পৌর শহরে গলার কাটা ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। এসব বাহনের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মানছে না নিয়ম কানুন। যত্রতত্র থামানোসহ সড়কের মাঝ দিয়ে চলে এসব যান। বৈধ অবৈধ সবগুলো চলাচলের নিয়ম ভাঙ্গতে যেন সদা ব্যস্ত। কে কার আগে যাবে চলে এই প্রতিযোগিতা।
অদক্ষ এবং নেশাগ্রস্থ শিশু কিশোর চালকরা রয়েছে এসব বাহনে। তাদের তল্লাশি করলে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে সড়কে নামে। যে কারণে দুর্ঘটনাসহ মানুষ পঙ্গত্বও বরণ করছে প্রতিনিয়ত। ফলে দিনে রাতে যেকোন সময় জ্যাম পড়ে যায়। ১০ মিনিটের পথ ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
নেত্রকোনা পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, লইসেন্সকৃত দুই ধরনের রঙের (হলুদ-নীল) ইজবাইক রয়েছে ২৪৫০ টি। ব্যাটারি চালিত রিক্সা ১৯০৩ টি। মিশুক (হলুদ-নীল) ১৩১১ টি। সাধারণ নাগরিকদের আন্দোলনের মুখে গেল বছরের শেষের দিকে পৌর কতৃপক্ষ লাইসেন্সধারীদের বাহনে দুই ধরনের কালার করে দিলেও সবগুলোই চলে প্রতিদিন।
পথচারী কামরুল হাসান জানান, সকালে অফিস টাইম, স্কুল কলেজ শুরু এবং ছুটিসহ দিনে রাতে প্রচন্ড জ্যাম থাকে। মাত্র তিন কিলোমটারের সড়কের অর্ধ কিলোমিটার বা এক কোয়াটার কিলোটিার চলাচল করতেই ঘন্টা পার হয়। রোগী নিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের আখরার মোড়, বড়বাজার, তেরী বাজার, শহীদ মিনার মোড়, থানার মোড় এই জায়গাগুলো এখন জ্যাম আতঙ্কের। হেঁেটও চলাচলের সুযোগ নেই। এমনভাবে অটোগুলো চলে তাদের ফাঁক ফোকর দিয়ে চলতে গিয়ে হঠাৎ টান দিলে মানুষের হাত পা কোমড়ে ব্যাথা পায়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ জিম্মি। আগে ভোটের ভয়ে জনপ্রতিনিধিরা এদেরকে মাথায় তুলে রেখেছে। এখন এই সরকারের সময় প্রশাসন দেখভাল করায় আরও বিগড়ে গেছে এরা।
পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, আমি যোগদান করেই কিছুদিন আগে রাস্থায় নেমেছিলাম পরিস্কারের জন্য, গিয়ে দেখি ভয়ঙ্কর অবস্থা। বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত মারাত্মক জ্যাম থাকে।
এতে সকলেই ভুক্তভোগী। আমরা মাঠে আছি। দেখি একটা কমিউিনিটর মাধ্যমে সকলের সমন্বয়ে কিছু করা যায় কিনা। পৌরসভা থেকে কিছু লোক দিয়ে মোড়ে মোড়ে কৃত্রিম জ্যামগুলো বন্ধ করা যায় কিনা চেষ্টা করছি। অবৈধ লাইসেন্সবিহীন গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযান চালালেও তারা পৌরসভার ভেতরে গাড়ি নিয়ে আন্দোলন করে।