কৃষি যান্ত্রিকিকরণ প্রকল্পের আওতায় ভতুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে সতত্যা যাচাইয়ে মাঠে নেমেছে দুদক। মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারী) দুপুরে নেত্রকোনার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের রায়দুম রৌহা গ্রামে অভিযান পরিচালান করেন ময়মনসিংহ দুদকের একটি টিম।
সমন্বিত দুদক কার্যালয় ময়মনসিংহের সহাকারী পরিচালক মোঃ বুলু মিয়ার নেতৃত্বে সহাকারী পরিচালক রাজু মো. সারওয়ার হোসেনসহ ৫ সদস্যের টিম বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন করেন। চলমান অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মিলিছে বলেও জানান অভিযান পরিচালনাকারী টিম লিডার।
জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় গত ২০০৯ সন থেকে হাওরাঞ্চল নেত্রকোনায় কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৯০০ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেয়া হয়।
তার মধ্যে প্রায় মেশিন বিতরণে কাগজেপত্রে কৃষকের নাম থাকলেও বাস্তবে মিল নেই। কোন কোন এলাকায় গিয়ে দেখো গেছে এক বাড়িতেই খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে ৫ টি মেশিন।
ওই বাড়ির আশপাশ এলাকার আর দুই বাড়িতে দুটি একটি করে মেশিন রযেছে এমন বেশ কয়েকটি। বাড়িঘরের মানুষ জানেনা কেন রাখা হয়েছে এগুলো।
তবে দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী টিম জানায় এটি সুলতান নামের কৃষি অফিসের কোন এক কর্মকর্তার বাড়ি।
এদিকে পাশের বাড়ি নৃপেন্দ দাস নামের একজনের বাড়িতেও এমন একটি মেশিন রাখা পাওয়া গেছে। যার কাগজ পত্রের সাথে স্বাক্ষরসহ দলিলপত্র যাচাই বাছাই করে অসঙ্গতি থাকায় তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান।
তবে তদন্তের স্বার্থে ওই কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেননি।
তবে বলেন কর্মকর্তার ভাই, আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জনের নামে রয়েছে এসব মেশিন। স্থানীয়রা জানান, তদন্তের মারপ্যাচে কোন দুর্নীতিবাজ যেন ছাড় না পেয়ে যায় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
অভিযান পরিচালনাকারী দুদকের টিম লিডার মো. বুলু মিয়া জানান, গত ২০০৯ সন থেকে ২৪ সন পর্যন্ত পর্যায়েক্রমে এসকল মেশিন বিতরণের তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
তারমধ্যে ২০২০ সহ থেকে গত ২৪ পর্যন্ত প্রথম ধাপে তদন্ত করছেন।
প্রাথমিকভাবে নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের রায়দুম রৌহা গ্রামের সুলতান হোসেনের বাড়িতে ও আশপাশে মোট ৭ টি মেশিন পেয়েছেন যেগুলো বিতরণে অনিয়মের সত্যতা মিলেছে।
তিনি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। বর্তমানে ময়মনসিংহের ধৌবাউড়ায় কর্মরত।
তার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। সবশেষে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।