নেত্রকোনায় কৃষকদের নেতৃত্বে ধানের জাত নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুষাই পাড়ের কৃষক সংগঠনের আয়োজনে গবেষণাকারী রিসোর্স সেন্টার বারসিকের সহযোগিতায় এই মাঠ দিবসে ময়মনসিংহের তারকান্দাসহ নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২১ জন কৃষক অংশ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ^রপুর গ্রামে শুধুমাত্র জৈবসার দেয়া একটি জমিতে ৪০ জাতের বোরো ধানের গবেষনা করেন ওই কৃষকরা।
তারা ৪০ প্রকারের ধানের থোর দেখে দেশি চারটি জাত ও কৃষকদের ব্রিডিং করা চারটি মোট আট প্রজাতির ধানরে চারা নির্বাচন করেছেন। ধানের জাতগুলো হলো দেশি জিরা, চোরাইক্ষা, বাঁশফুল ও পুইট্টাইজং।
গবেষণায় কৃষকদের বিড্রিং করা জুনটি, এম ২৫২,পারিজা ও ডিএস ৩, ৪।
সবগুলোই নতুন এবং অধিক ফলনশীল। যা চাষ করলে জৈব সার দিয়েই ধান উৎপাদন হবে। কেনা সারের প্রয়োজন হবে না। খরচ বাচবে কৃষকের।

বিদেশী জাতে চোচা, বøাস্টসহ নানা রোগে করবে না আক্রান্ত। ফলনও ভালো হবে মাটির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে। পরে বারসিকের হলরুমে মোট নির্বাচিত ধানের চারায় কিভাবে অধিক ফসল উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা জনসংগঠনের আহŸায়ক সায়েদ আহম্মেদ খান বাচ্চুর সভাপতিত্বে কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের এনামুল হক, লক্ষীগঞ্জের সাদেক হোসাইন, মদনের বাবুল মিয়া, কলমাকান্দার আব্দুল মোতালেব, তারকান্দার আব্দুল হামিদ, বারসিকের শংকর ¤্রং, পার্বতী রানী, সবুজ সংহতির মীর্জা হৃদয় সাগর প্রমুখ।
এতে ধানের নতুন জাতগুলোর উপকারিতা, অপকারিতা, কত দিনে ফলন, চারা রোপনের পদ্ধতিসহ সার কীটনাশক ব্যবহারের বিষয় তুলে ধরা হয়।