পারিবারিক কৃষি চর্চায় মাটি-পানি-পরিবেশ ভালো রাখা নিয়ে কাজ করা বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় কাইলাটি গ্রামবাসির ’আয়োজনে,“আমরা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা করি” শীর্ষক গ্রাম আলোচনাঅ নুষ্ঠিত হয়।
কৃষক এনামুল হকের বাড়িতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবুআব্বাস ডিগ্রী কলেজের প্রাণীবিভাগের সহকারী অধ্যাপক নেত্রকোনা শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি জনাব নাজমুল কবীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক সময় টিভির সাংবাদিক আলপনা বেগম।
আরো উপস্থিত ছিলেন কবিরাজ আব্দুল হামিদ, সাংবাদিক মির্জা হৃদয় সাগর, সাংবাদিক পরিবেশ কর্মী রিফাত আহমেদ রাসেল, প্রকৌশলী রোদসী চক্রবর্তী, কৃষক-কৃষানি, যুবক কিশোরী, বর্গাচাষীসহ অনেকেই।
আলোচনায় রাসায়নিক কৃষিকে না বলা, পারিবারিক কৃষি চর্চা, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ-গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, বৈচিত্র্য ও আন্তনির্ভরশীলতা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী,মাটিকে ভালো রাখা, বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শতবাড়ির প্রতিনিধি কৃষক এনামুল হক।
আলোচনায় প্রবীণ কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন,“আমরা সবাই নিজের বাড়িতে,বাড়ির বিরছাতে রাসায়নিক সার ছাড়াই ফসল ফলাই, আমাদের পরিবারে যে কৃষি কাজ করি এগুলো নিরাপদ, তবে আমরা ফসলের মূল্য পাইনা, বেচতে গেলে দাম কম, কিনতে গেলে দাম বেশী।”
কৃষক ইনামুল হক বলেন,“বাসায়নিক সার ব্যবহার কমাইয়া দিছি। আমি যে কম্পোস্ট সার উৎপাদন করি নিজে ব্যবহার করি। আমাদের বাঁচতে হলে কীটনাশক ব্যবহার কমাইতে হবে। নিজের বীজ নিজেকেই রাখতে হবে। ব্যাঙ কেঁচোকে বাঁচাতে হবে। তা হলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ”
কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা মাটিকে ভালো রাখে, মাটিতে বিদ্যমান বিভিন্ন অনুজীবকে বাঁচিয়ে রাখে,পরিবেশকে সুরক্ষা রেখে বাস্তুতন্ত্রকে পূনরুদ্ধার করে।
গ্রামের প্রত্যেক কৃষককে আরো সমৃদ্ধ করণ ও উপযোগি করা ও পাখি রক্ষা করা বিষয়ে আলোচনা করেন প্রকৌশলী রোদসী চক্রবর্তী।
আরো আলোচনা করেন মির্জা হৃদয় সাগর, রিফাত আহমেদ রাসেল, সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃষক সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দিন সভাপ্রধান সভার কাজ শেষ করেন।
সভা শেষে আগত অতিথিদেরকে মালশিরা ধানের পিঠা তৈরী করে পরিবেশন করেন গ্রামবাসি।
বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান বলেন, কৃষিখাতকে উন্নত করলেই জীবন উন্নত হবে। সে জন্য কৃষকদেরকে সহযোগিতা ও তাদেরকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা।