সোহান আহমেদ:
“কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি,” এই ¯স্লোগানকে সামনে রেখে ১৫ ও ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকান্ডে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়কে জেলা ছাত্রলীগের অয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জেলার ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
এসময় তারা ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের নরকীয় ভয়াবহ বর্বর ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে নিন্দা জানান। এমন নারকীয় ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবী তুলেন। যারা এই ধরনের ঘটনার ইন্দনদাতা তাদের বের করে শাস্থির আওতায় আনারও দাবী করেন মানববন্ধনে।
এসময় মানববন্ধনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খানের পরিচালনায় নেতাকর্মীরা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন, সহ-সভাপতি জহির রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন বাঁধন, রুমিত আয়াতসহ আরো অনেকেই।
ছাত্রলীগের জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। যে কারণে আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু হায়েনার দল আমাদের এই বাংলাদেশকে বাধাগ্রস্থ করতেই সেদিন স্বপরিবারে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
কিন্তু তারপরও আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। পরিবার হারানোর বেদনা নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
এই হত্যাকারীরা সেদিন এমন বাংলাদেশ চায়নি। দেশের মানুষের ভাগ্য বদল চায়নি। তারা চেয়েছিলো শোষন নিপীড়ন। যা হতে দেয়া হয়নি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। জাতির পিতার আদর্শকে লালন করে ধারণ করেই এই সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে কাজ করে যাবো। আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে লড়ে যাবো। কিন্তু আমরা চাই সেদিনের সেই হায়েনাদের ফাঁসি।
তাদেরকে শাস্তি দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যাতে অদূর ভবিষতেও এমন কোন হায়েনার জন্ম না হয়। কারণ ওরা সুযোগ পেলেই মাথাচারা দিয়ে ওঠে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তার একটি প্রমাণ। তাই জড়িতদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি জানাই।