Saturday, September 14, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যনেত্রকোনায় ট্রাফিক কাজে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের বাধা দিয়েছে ছাত্ররা

নেত্রকোনায় ট্রাফিক কাজে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের বাধা দিয়েছে ছাত্ররা

নেত্রকোনায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ঢুকতে চাওয়া ছাত্রবিরোধী অবস্থানের কারণে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের বের করে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। দেশের চলমান পরিস্থিতিেিত পুলিশের অবর্তমানে সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনা জেলা শহরের সড়কগুলোতে দিনরাত দাড়িঁয়ে ট্রাুফিক নিয়ন্ত্রন করছে আপামর ছাত্ররা। সেখানে শুক্রবার রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা আসতে চাইলে বাধা দেয় সাধারণ ছাত্ররা।

পরে অনেক রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা জানান তাদেরকে জোর করে ছাত্রদের বিরেুদ্ধে মিছিল মিটিং করিয়েছে। তাদেরকে বাধ্য করেছে ইউনিটের দায়িত্বে থাকা আওয়ামীলীগের নেতারা। এজন্য তারা লজ্জিত এবং মর্মাহত।

জানা গেছে, দেশে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় তখন থেকেই ছাত্রদের বিপক্ষে বাধ্য করে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের। এরই ধারবাহিকতায় গত তিন ও চার আগস্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিছিলসহ মারধর পর্যন্ত করিয়েছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।

দলীয় ও রেডক্রিসেন্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দশক ধরে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু। ইউনিটের অন্যতম নেতা কার্যকরি সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ ইমরান। তারা দীঘদিন পর্যন্ত নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন এই আর্ন্তজাতিক মানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।

শুক্রবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিতাড়িত হওয়া রেডক্রিসেন্টের জেলা ইউনিটের এক সদস্য তানজির আহমেদ জানান, আমরা ছাত্র। আমরা বিপদে এগিয়ে যাওয়া শিখেছি এই সংগঠন থেকে। কিন্তু আমাদেরকে ব্যবহার করেছে। আমাদেরকে মানসিক নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে অমানবিক কাজ করিয়েছে। সম্প্রতি সরকার পতনের দুদিন আগে আমাদেরকে ইউনিটে ডেকে কার্যকরি সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ ইমরান ছাত্রদের বিরুদ্ধে নামিয়েছে। রেল ক্রসিং এলাকায় আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিন আগস্ট ছাত্রদের উপর হামলা করিয়েছে ছাত্রলীগ দিয়ে। আমাদের সংগঠনে ছাত্রলীগের নেতাদে;র সদস্য পদ দিয়ে তাদের দিয়ে ছাত্রদেরকে অত্যাচার করিয়েছে। সর্বশেষ চার আগস্ট আমাদেরকে দিয়ে বৈষম্যরিরোধী ছাত্রদের বিপক্ষে পাবলিক হল থেকে শান্তি মিছিলের নামে একটি ভয় দেখানো মিছিল করিয়েছে। যার জন্য আমরা অনুতপ্ত। আমরা ছাত্র হয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে লড়তে হয়েছে।

এ নিয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু এবং সাইফুল্লাহ ইমরানকে পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ জানান, একটি আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নিজেরা ব্যবহার করেছে। লুটপাটের পাশাপাশি তারা আন্দোলনে দমন পীড়ন করেছে। গত দুই তিনদিন তান্ডব চালিয়েছে। এই জন্যে ছাত্ররা এদেরকে প্রত্যাক্ষ্যান করেছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments