মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা
নেত্রকোনা থেকে কর্মস্থল ঢাকাগামী মানুষের চাপে প্রতিদিনের চেয়ে ২/৩ বার বেশি আপটাউন করার পরও আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে প্রচন্ড মানুষের জনস্রোত। টিকিট ও গাড়ি না পেয়ে আশংকায় শত শত যাত্রীরা।
যাত্রীর তুলনায় যাতায়ত ব্যবস্থার সুযোগ কম থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকাপে যাচ্ছেন অনেকে।
এদিকে বাস কর্তৃপক্ষের দাবী আধঘন্টা পরে পরে ছাড়া হলেও আজ বাসে যাত্রী সিট পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই ছেড়ে যাচ্ছে। তবুও যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
এদিকে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ বলছেন তারা ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপের মাধ্যমে না যাওয়ায় অনুৎসাহিত করছেন ও বার বার সতর্ক করছে।
শুক্রবার ও ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে দুই দিনের টানা ছুটি কাটিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা এবং প্রথম কর্মদিবসে উপস্থিত হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সড়কে বসা এসকল যাত্রীরা।
২/৩ ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে টিকেট না পেয়ে শীত উপেক্ষা করে ভোগান্তির শিকার হলেও তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা জরুরি বলে জানান, জামিল হোসেন নামের এক অপেক্ষাকৃত যাত্রী।
শনিবার(১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর শহরের পারলা ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভোগান্তির এমন দৃশ্য।
গার্মেন্টস কর্মী হাসান ও আয়েশা দম্পতি জানায়, আমি শিশু বাচ্চা নিয়ে দুই দিনের ছুটিতে অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছিলাম। কর্মস্থলে ফেরার জন্য বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করছি এই কনকনে শীতে আমার শিশু বাচ্চা কে নিয়ে আদৌ ঢাকা বুঝতে পারবো কিনা বুঝতে পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক বা পিকআপে করে হলেও আসলে পৌঁছাতে হবে।
হযরত শাহজালাল এক্সপ্রেসের ম্যানেজার শ্রী সুভাষ চৌধুরী জানান, রেগুলার ২৭ বার আপ ডাউন করলেও আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৫ বার আপ ডাউন করেছে।
ঢাকা রোডে জ্যাম থাকায় আমাদের বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে এবং আধ ঘন্টার স্থলে ৫ মিনিট পরপর ছেড়ে কোলানো যাচ্ছে না।
পুলিশের টি আই মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ জানান, তারা সড়ক ক্লিয়ার রাখলেও ঢাকা থেকে বাস গুলো আসতে পারছে না।
সকল যাত্রীর চাপ এক সাথে পড়ে গেছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস যাত্রীই বেশি। যে কারণে ঝুঁকি নিয়েও যাচ্ছে অনেকে। তবে আমরা তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে নিরুৎসাহিত করছি।