নেত্রকোনার ৫ টি আসনের মধ্যে একটি প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় বাকী চারটির মধ্যে তিনটি আসনেই বেকায়দায় নৌকার প্রার্থীরা। তারমধ্যে নেত্রকোনা ২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে ঈগলের চাপে নৌকা। আসনটিতে দুই মন্ত্রীর ভোট যুদ্ধ। একজন দুবারের এমপি ও একবারের মন্ত্রী। নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু বর্তমান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও প্রথম মেয়াদের এমপি ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপমন্ত্রী হন। তিনি এবার স্বতন্ত্র নির্বাচনে ঈগল নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। চাপে ফেলেছেন নৌকাকে।
নেত্রকোনা ৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে তিনবারের তিন এমপির লড়াই চলছে। নৌকার মনোনয়ন নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবারও নৌকা নিয়েছেন। তার সাথে গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশি ঈগল প্রতীক নিয়ে এবার স্বতন্ত্র করছেন। এছাড়াও এবার ডাক সাইটে রয়েছেন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র লড়ছেন। আসনটিতে নৌকা ট্রাকের লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে। দুজনের মধ্যেই হামলা মামলার ঘটনা ঘটছে। নৌকার বিরুদ্ধে ট্রাকের প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রাণ নাশের ভয় সহ হুমকি ধমকির অভিযোগ রয়েছে। এই আসনে ট্রাকের পাল্লাই ভারী।
নেত্রকোনা ৫ (পুর্বধলা) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। কিন্তু এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র লড়ই করছে ঢাকা মহানগর কৃষকলীগের নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল। চলছে দুই প্রার্থীর মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা। ট্রাকের প্রার্থীর টাকার ভান্ডার বিশাল থাকায় নৌকা কিছুটা চাপে।
এছাড়াও একই আসনে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল নিয়ে তিন তিনবারের এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীকের বড় ভাই জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচর্য্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। তার রয়েছে সুশীল সমাজ ও মুক্তিযোদ্বা এবং কর্ণেল তাহের ব্যাপক পরিবারের পরিচিতি।