নেত্রকোনার আটপাড়ায় প্রতিবেশি যুবক কর্তৃক ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে শিশুর বাবা শিশুটির সাথে হাসপাতালে থাকায় থানায় অভিযোগ দিতে না পারায় পুলিশ আসামী ধরতে পারছেনা। তবে স্থানীয়রা বলছে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজনৈতিক ভাবে তৎপর রয়েছে কয়েকজন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যরাতে আটপাড়া উপজেলার লুনেস্বর ইউনিয়নের নারাচাতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে নেত্রকোনা ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়, স্বজন ও হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মা মরা শিশুিিট বাবার সাথে বাড়িতে থাকে। বাবা প্রতিদিন কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটি একাই বাড়িতে ছিলো। এই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক শিশুর ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর মিয়া নামের যুবক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পিতা বাড়ি এসে রাত ১টার দিকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মেডিকেল অফিসার ডা. এ এম এফ ফজলুল হক নেত্রকোনায় রেফার্ড করেন। তখন নেত্রকোনা নিয়ে আসলে নেত্রকোনা থেকেও ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি শিশুটির বাড়িতে যাই। শিশুটির শরীর ও মুখমন্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে যাই এবং ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলি। ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান। রাতে স্থানীয়রা মীমাংসা করতে যেয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এসব বিষয়ে মীমাংসা করা ঠিক হয়নি। তবের মেয়ের বাবা হাসপাতালে থাকায় এখনো অভিযোগ দিতে পারেননি। খুব গরীব বাবা।
নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের অফিসার এস এম এ সেলিম জানান, তারা খোঁজ নিয়ে ময়মনসিংহের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। চলতি বছর মোট ৮ টি ঘটনায় হাসপাতালে ভিকটিম পাওয়া গেছে।