দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেত্রকোনায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রার্থীর শো-ডাউন হচ্ছে জেলাজুড়ে। শহর জুড়ে বিভিন্ন স্লোগানে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
তবে সেই তুলনায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা পড়ছে ধীরগতিতে। বেশিরভাগ প্রার্থী শেষ দিনে মনোনয়ন দাখিল করবেন বলেও জানান।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন নেত্রকোনা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান।
তিনি স্থানীয় নেতাকার্মীদের সাথে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা শাহেদ পারভেজের কাছে।
এর আগে মোহনগঞ্জ থেকে শো-ডউনের মাধ্যমে জেলা শহরে এসে মিছিল নিয়ে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এদিকে গুরুত্বপূর্ন এ আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে এবার প্রার্থী হচ্ছেন নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ।
তিনি তার সমর্থক দিয়ে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগের বার তিনি মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়েন তিনি।
অন্যদিকে নেত্রকোনা শহরে বিশাল মোটরসাইকেল শো-ডাউন করেছেন নেত্রকোনা ২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয়। এই সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি জানান, মনোনয়ন জমার শেষ দিনে ৩০ নভেম্বর তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।
বুধবার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেখা করে আসেন।
নেত্রকোনা ২ আসনে এবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে এমপি ছিলেন। পরবর্তীতে তৃতীয় মেয়াদে এমপি হয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
এছাড়াও জেলার ৫ টি আসনের সহকারী রিটানিং অফিসারদের কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন প্রার্থী কারা কারা জমা দিয়েছেন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে বেশিরভাগ হেভিওয়েট নেতাকর্মীরা শেষদিন ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দিবেন বলে জানা গেছে।