নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিজ উপাসনালয়ে মধ্যরাতে অগ্নি সংযোগ করতে যেয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হলেন নেপাল চন্দ্র ঘোস নামের এক যুবক। এদিকে বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে মন্দিরে আগুন দেয়ার খবর।
রবিবার সকালে স্থানীয় জনগন ও আনসার সদস্যরা আটক নেপালকে পুর্বধলা থানায় হস্তান্তর করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা ঘোষপাড়া গ্রামের বারহা কালিবাড়ি রাধাগোবিন্দ মন্দিরে শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আশপাশের মানুষ শব্দ শুনতে পান। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দেখেন দানবাক্সটি ভাঙ্গছে এক যুবক।
পাশেই কিছু লাকড়িও পাওয়া গেছে। এসময় স্থানীয় আনসারসহ সকলের ধাওয়া খেয়ে নেপাল দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ায় তাকে আনসার ও স্থানীয়রা ধরে ফেলেন।
স্থানীয় জনতা, আনসার ও পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নেপাল জানায়, তারা মোট আটজন ছিলো। তার পাশের বাড়িরে জয় ঘোষ নামের একজন তার সাথে ছিলো। জয় ঘোষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে দুর্গাপুর থেকে দুটো মোটরনাইকেলে চরে আরও ছয়জন আসে। মন্দিরে আগুন দিতে তারা তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয়। এরপর লোকজনের হৈচৈ শুনে ওরা বাইক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে আনসার সদস্য ও এলাকাবাসীর হাতে নেপাল ধরা পড়ে। নেপাল বারহা গ্রামের সুদীর ঘোষের ছেলে। একই এলাকার কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে পালিয়ে যাওয়া জয় ঘোষ। তবে তার কথা মতো আরও ছয় জন থাকা কারোই পরিচয় জানে না বলে জানায়।
এ ব্যাপারে পুর্বধলা থানার ওসি মো.তাজুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক নেপালের জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। তার সাথে আসলেই আরও কেউ ছিলো কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কথা মতো আটজন ছিলো। তারা দুজন এক এলাকার অন্য ছজন দুর্গাপুরের।
ওসি আরও জানান, তার মূলত ক্যাশবাক্সটি ভাঙ্গার ফলে ধরা পড়েছে। এছাড়া মন্দিরের ভেতরে কোন কিছু পাওয়া যায়নি।
আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের জেলা কমান্ডার মো. গোলাম মৌলাহ তুহিন জানান, রাতে যখন শব্দ শুনেন এলাকাবাসী তখন ধাওয়া করে।
এসময় পাশের ক্যাম্পের আনসার সদস্যরাও এগিয়ে আসে। পরে সবাই মিলে একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাথে আরও একজনের কথা স্বীকার করে। এছাড়াও আরও ছয়জন দুর্গাপুর থেকে আসার কথাও জানায়। পরে সকলের সাথে কথা বলে সবার সহযোগিতায় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।