নেত্রকোনা মুক্ত দিবসে নানা কর্মসূচী নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি বর্ন্যাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়।
সোমবার সকালে র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত “প্রজন্ম শপথ” ভাস্কর্য্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলাবাসী।
প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ^াস ও পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ শ্রদ্ধা জানান।
পরে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে সাবেক কমান্ডারগণ পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর উন্মুক্ত করে দিলে একে একে বিভিণœ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাজনৈতিক দল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির নেতৃবৃন্দ নেত্রকোনা মুক্ত দিবসে অংশ নিয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করে জিয়ার সৈনিক ¯েøাগান দিতে থাকে। এরপর পাবলিক হল মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলেচনা সভায় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ^াসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মান্নান তালুকদার, জেলা বিএনপির আহŸায়ক ডাক্তার আনোয়ারুল হক, যুগ্ম আহŸায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিমসহ অন্যরা।
এই দিনে মরণপন লড়াই করে নেত্রকোনা শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিলো বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। শহরকে শত্রæমুক্ত করতে গিয়ে পাক হানাদারদের সাথে সন্মুখ সমড়ে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন, আবু খাঁ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রশিদ।